বাইক থেকে বার হচ্ছিল ‘বিকট’ শব্দ। প্রায়ই এলাকায় দৌরাত্ম্য ছিল সেই বাইকের। ‘শব্দযন্ত্রণা’ থেকে মুক্তি পেতে পুলিশকেও জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাইকটি থামান পুলিকর্মীরা। কেন তাঁর বাইক থামানো হল, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আরোহী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তাঁর বাবা। অভিযোগ, তখনই পুলিশের উপর চড়াও হন বাবা-ছেলে। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশের একটি দল। তখনই বিকট শব্দের অভিযোগে একটি বাইককে দাঁড় করান পুলিশকর্মীরা। শুরু হয় বাইকটির পরীক্ষানিরীক্ষা। কেন বাইক থেকে এত শব্দ বার হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন ওই বাইকের ‘সাইলেন্সর’ বেআইনি ভাবে বদলানো হয়েছে। কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন ওই বাইকের চালক আসিফ।
পুলিশের সঙ্গে বচসার মাঝেই আসিফ তাঁর বাবাকে ফোন করে ডাকেন। ছেলের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রিয়াজ়উদ্দিন। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার মধ্যেই আসিফ এবং রিয়াজ়উদ্দিন বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। তখনই রাগের মাথায় পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলকে তাঁরা মারধর করেন বলে অভিযোগ।
তবে বাইক নিয়ে পালাতে পারেন না আসিফেরা। অন্য পুলিশকর্মীরা এসে তাঁদের ধরে নিয়ে থানায় যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, আক্রান্ত দুই পুলিশকর্মীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।