প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছেলের পা টিপতে চাননি। যার জেরে ছেলের হাতেই খুন হতে হল বাবাকে। এমনই ঘটনা ঘটল নাগপুরের নবাবপুরা এলাকায়। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম দত্তাত্রেয় শেন্ডে। শনিবার বিকেলে তাঁর ছোট ছেলে কুশল বাড়ি ফেরার পর ৬২ বছর বয়সি বাবাকে পা টিপে দিতে বলেন। কিন্তু ছেলের পা টিপতে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেন কুশল। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দত্তাত্রেয়কে মারধর শুরু করেন কুশল। বাবাকে ভাইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে আসনে দত্তাত্রেয়র বড় ছেলে প্রণব। কিন্তু সেই বাধাও মানেননি কুশল। বাবার পেটে, বুকে ক্রমাগত লাথি, ঘুষি মারতে থাকেন তিনি। ভাইয়ের মারে আহত হন প্রণবও।
বাবাকে বাঁচাতে প্রতিবেশীদের সাহায্য চান প্রণব। তাঁদের ডাকতে ঘর ছেড়ে বার হয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাবা ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। জ্ঞান নেই। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান সকলে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
ভাইয়ের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রণব। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে শনিবার সন্ধেয় নবাবপুরা এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, লাথি, ঘুষি মারায় প্রৌঢ়ের বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। সেই কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ময়নাতদন্তের পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।