প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আরজি কর-কাণ্ডের মধ্যেই দিল্লির এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসক এমসে কর্মরত ছিলেন। রবিবার নিজের বাড়িতে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গৌতমনগর এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ৩৪ বছর বয়সি ওই চিকিৎসক। বন্ধ ঘরে মৃতের পাশ থেকে একটি নোটও পেয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারী এক সূত্রের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণে গত কয়েক দিন ঘরে ঝামেলা চলছিল ওই চিকিৎসকের। সেই ঝামেলার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, সেই অবসাদ থেকেই চরম পদক্ষেপ করেছেন ওই চিকিৎসক। মৃত চিকিৎসক ছিলেন এমসের স্নায়ুরোগে বিশেষজ্ঞ।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। প্রতিবাদ চলছে দেশ জুড়ে। দিল্লির এমসেও ডাক্তারি পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। চলছে কর্মবিরতি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনায় অন্য আর কেউ জড়িত কি না তার সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।