প্রতীকী ছবি।
শাশুড়িকে খুন করলেন বউমা। এ ঘটনা এ দেশে নতুন নয়! বরং উল্টোটাও ঘটে প্রায়ই। তবে সম্ভবত এই প্রথম শাশুড়িকে খুন করার জন্য টাকা নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন পুত্রবধূ। এককালীন আর্থিক পুরস্কার তো বটেই, তার পাশাপাশি খুনের আগে ওই মহিলাকে আগামীদিনে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
এ ধরনের বরাত বা খুনের চুক্তিকে সাধারণত অপরাধ জগতে ‘সুপারি’ বলা হয়। তবে এই ঘটনায় শুধু এই ‘সুপারি’ নয় আরও একটি মোচড় আছে। পুলিশ জানিয়েছে, শাশুড়িকে খুন করার বরাত বউমাকে পেয়েছিলেন তাঁর নিজের শ্বশুরের কাছ থেকেই। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।
মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত ১২ জুলাই। রেওয়ার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী সরোজ কোলকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ বছরের বাল্মিকী কোল এবং তাঁর পুত্রবধূ ২৫ বছরের কাঞ্চন কোলকে। সরোজকে গত মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির রান্নাঘর থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, তাঁর স্বামী বাল্মিকী আবার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। স্ত্রী-র থেকে চিরতরে নিস্কৃতি পেতেই তাঁকে খুন করতে পুত্রবধূ কাঞ্চনকে কাজে লাগান তিনি। মাত্র ৪০০০ টাকার বিনিময়েই রাজি করান ওই কাজের জন্য।
পুলিশ জেরা করে জেনেছে, কাঞ্চনকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাল্মিকী। কী ভাবে, কখন খুন করতে হবে তা-ও বলে দিয়েছিলেন। এমনকি, খুনের অস্ত্রটিও বউমাকে সরবরাহ করেছিলেন তিনিই। পুলিশ জানিয়েছে, কাঞ্চনের সঙ্গে আগাগোড়াই বনিবনা ছিল না সরোজের। বাল্মিকী সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে খুনের ঘটনাটিকে সাজান।
ঘটনার দিন অবশ্য বাল্মিকী বা়ড়িতে ছিলেন না। তিনি চলে যান সাতনায়। ও দিকে, কাঞ্চনের স্বামীও ছিলেন মেরঠে। পুলিশ জানিয়েছে, কাঞ্চন প্রথমে তাঁর শাশুড়িকে একটি লোহার প্যান দিয়ে আঘাত করে অচেতন করে দেন। তার পর শ্বশুরের সেখানো পদ্ধতিতে একটি ছুরি দিয়ে সরোজের গলা চিরে দেন।