এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শ্বশুরের লাগাতার হুমকি, স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি। সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্মী। সেই থেকেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি? শুক্রবার বেঙ্গালুরু এক রেললাইনে ওই পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের কাছ থেকে একটি নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা, কেন তিনি গত কয়েক দিন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের এক জন কনস্টেবল। হুলিমাভু থানায় কাজ করতেন। শুক্রবারও ডিউটি সেরেছেন। তার পর বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণ নিয়ে ঝামেলা বাধে। অশান্তির মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। রাতের দিকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের ধারে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই কনস্টেবল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবলের থেকে একটি নোটও উদ্ধার হয়। সেই নোটে তিনি দাবি করেছেন, গত ১২ ডিসেম্বর তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়েছিল। এমনকি তিনি হুমকিও দেন। নানা কারণে স্ত্রীর সঙ্গেও ঝামেলা হত তাঁর। তবে এই সব অশান্তির থেকেই আত্মহত্যা তিনি করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিয়ে হয় ওই কনস্টেবলের। তবে তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি।
ঘটনার দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কাজ করেছেন থানায়। তার পর বাড়ি ফিরে অশান্তি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। পুলিশ মৃতের স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। দু’জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’