লোকসভায় শনিবার বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সংসদে সংবিধান নিয়ে আলোচনায় শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার অধিকাংশ জুড়েই ছিল গান্ধী পরিবার। সংবিধান নিয়ে জওহরলাল নেহরুর অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) থেকে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা, মোদীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে নানা বিষয়। মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেস কখনও জরুরি অবস্থার কালি মুছতে পারবে না। জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সংবিধানের ২৫ বছর পূর্তিতে ভারতীয় সংবিধান ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা জারি করে জনগণের সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কংগ্রেস সেই দাগ কখনও মুছতে পারবে না।’’
নেহেরুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম প্রধানমন্ত্রী এক সময় সমস্ত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলেন, সংবিধান যদি বাধা সৃষ্টি করে, তবে তা পরিবর্তন করা উচিত। সংবিধান পরিবর্তনে নেহরু যে বীজ বপন করেছিলেন, ইন্ধিরা গান্ধী তা অনুসরণ করেছিলেন। রক্তের স্বাদ পেয়ে সংবিধানের অপব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি। দেশের বিচারব্যবস্থার উপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী করে আদালতের ডানা কেটেছিলেন।’’
মোদীর অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার তার ৬০ বছর মেয়াদকালে ৭৫ বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সংবিধানকে আক্রমণ করতে কোনও সুযোগ ছাড়েনি কংগ্রেসের একটি পরিবার। কংগ্রেস এতটাই রক্তপিপাসু ছিল যে, সংবিধানের আত্মাকে বার বার রক্তাক্ত করতে থাকে।’’ এ ছাড়াও, রাজীব গান্ধীকে ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিক’ বলে নিশানা করেছেন মোদী।
ভারতের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং ঐক্য দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অগ্রাধিকার হল ভারতে ঐক্য মজবুত করা। আমাদের সরকার ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ৩৭০ ধারা সরিয়ে দিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, জিএসটি দেশের মধ্যে ‘অর্থনৈতিক ঐক্য’ নিশ্চিত করেছে। ‘গরিবদের ক্ষমতায়ন’ লক্ষ্যে চালু হয়েছে ‘এক দেশ এক রেশন’। গোটা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে তাঁর সরকার কী পহক্ষেপ করেছে, তা-ও শনিবার সংসদে তুলে ধরেছেন মোদী।