মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলেছে। —প্রতীকী চিত্র।
খুচরো বাজারের উল্টো ছবি পাইকারিতে। সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছিল, গত মাসে সামান্য হলেও খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.২২%। কিন্তু মঙ্গলবার পাইকারি দামের হিসাব বেরোতেই দেখা গেল সেখানে মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলেছে। ২০২৩-এর ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ২.৩৭%। সে বার ছিল ০.৮৬% আর আগের মাসে অর্থাৎ গত নভেম্বরে ১.৮৯%।
সরকারি হিসাব বলছে, এত দিন ধরে মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক হারকে ঠেলে তুলেছে যে খাদ্যপণ্যের দর, তার বৃদ্ধির গতি খুচরো বাজারের মতোই পাইকারিতে সামান্য কমেছে। নভেম্বরের ৮.৬৩% নেমে হয়েছে ৮.৪৭%। কিন্তু তার পরেও পাইকারি মূল্যসূচক মাথা তুলেছে তৈলবীজ, খনিজ, অশোধিত তেলের মতো খাদ্য নয় এমন কিছু পণ্য এবং তৈরি হওয়া সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ার কারণে। যদিও খাবারের মধ্যে আনাজ, আলু, পেঁয়াজের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ডিসেম্বরেও চড়াই ছিল যথাক্রমে ২৮.৬৫%, ৯৩.২০% এবং ১৬.৮১ শতাংশে। খাদ্যশস্য, ডাল, গম ইত্যাদির কমেছে।
পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলছেন, ‘‘খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও পাইকারি দেখিয়ে দিল সার্বিক ভাবে অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়নি। এটা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের জন্যেও ইঙ্গিত, তাড়াহুড়ো করে সুদের হার কমানোর সময় আসেনি। বরং সাবধানীরা আপাতত অপেক্ষা এবং নজর রেখে চলার নীতির পক্ষেই সায় দেবেন।’’
আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের বক্তব্য, ‘‘পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদকের স্তরে দামের ওঠানামাকে দেখায়। তবে তার প্রভাব পড়ে সাধারণ ক্রেতার উপরেও। শীতে আনাজ, আলু, পেঁয়াজের দাম কমার কথা বলা হয়। অথচ আদতে তা বেড়েছে। ক্রেতা এত পরিসংখ্যানে আগ্রহী নয়। বাজারে তাঁদের ভোগান্তিটাই বাস্তব। এখনও পরিস্থিতি বদলায়নি। বোঝাও যাচ্ছে না কবে অবস্থার উন্নতি হবে।’’