দেহ পাশে নিয়ে ঘরে বসে ছিলেন ৮৪ বছরের প্রবীণ। —প্রতীকী ছবি
অন্তত চার দিন আগে মারা গিয়েছেন ছেলে। দেহ পাশে নিয়ে ঘরে বসে ছিলেন প্রবীণ। শেষ পর্যন্ত সোমবার পুলিশ এসে উদ্ধার করে দেহ। মোহালির ওই বৃদ্ধকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
৮৪ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম বলবন্ত সিংহ। দত্তক ছেলে সুখবিন্দ্র সিংহকে নিয়ে মোহালির বাড়িতে থাকতেন তিনি। দিন দুই আগে থেকে প্রতিবেশীদের নাকে আসে বিশ্রী গন্ধ। তাঁরা খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। পুলিশ কর্মীরা দেখতে পান প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ।
পুলিশ আধিকারিক পল চাঁদ বলেন, ‘‘দরজা খুলতেই দেখি মৃতদেহের পাশে বসে ছিলেন বৃদ্ধ। কোনও কথা বলেননি তিনি। কথা বলার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না। সম্ভবত তিনি খুব বেশি কিছু বুঝতেই পারেননি।’’
এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘যাঁর দেহ মিলেছে, তিনি বৃদ্ধের দত্তক নেওয়া ছেলে। ওঁর নিজের কোনও সন্তান ছিল না। কোনও আত্মীয়স্বজন ছিল কি না, জানা যায়নি। গত এক মাসেরও বেশি সময় বৃদ্ধকে বাড়ির বাইরে কেউ দেখেননি। তিনি কারও সঙ্গে খুব একটা বেশি কথাও বলতেন না। বিশ্রী গন্ধ পেয়ে আমরা থানায় খবর দিয়েছিলাম। তার পর দেখা গেল এই কাণ্ড।’’
২০১৫ সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে এভাবেই বোনের মৃতদেহ আগলে বসে ছিলেন দাদা পার্থ দে। দুই পোষ্য কুকুরের দেহাবশেষও ছিল বাড়ির ভিতর।