গুজরাতের জুনাগড়ে চিতাবাঘের পেটে বালিকা! — ফাইল ছবি।
চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু এক ৭ বছরের বালিকার। শনিবার সকালে গুজরাতের জুনাগড়ে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। মানুষখেকোকে ধরতে জঙ্গলের চারপাশে পাতা হয়েছে খাঁচা। কিন্তু এখনও পাত্তা নেই ঘাতক চিতাবাঘের।
শনিবার স্কুল থেকে ফিরে ঠাকুমার সঙ্গে নদীতে যাওয়ার বায়না ধরেছিল ৭ বছরের মন্নত রাঠৌর। বাড়ির লোকেরা শেষ পর্যন্ত তাকে ঠাকুমার সঙ্গে যেতে দেন। জুনাগড়ের সোনারদি গ্রামের নদীতে ঠাকুমার সঙ্গে মন্নত যখন কাপড় ধুচ্ছিল তখনই আচমকা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘাড়ে কামড়ে ধরে হেঁচড়ে টেনে তোলে নদী থেকে। তার পর ঢুকে যায় জঙ্গলে। ঠাকুমার চিৎকারে আশেপাশের লোকেরা এসে চিতাবাঘটিকে তাড়া করে। একটি ঝোপের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মন্নতকে।
তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক চিতাবাঘটিকে ধরতে জঙ্গলের আশেপাশে অন্তত চারটি খাঁচা পাতা হয়েছে। এখনও খাঁচায় ধরা দেয়নি সে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠাকুমার চিৎকার শুনে গ্রামের লোকেরা চিতাবাঘটিকে তাড়া করলেও সে বালিকাকে নিয়ে একটি ঝোপের আড়ালে চলে যায়। গ্রামবাসীরা পাথর ছুড়লে পালায় চিতাবাঘটি। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মন্নতকে।