Students Flee from Bihar School

বিহারের আবাসিক স্কুলে এক রাতের মধ্যে পালাল ৫৫ ছাত্রী, খেতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ

এক পড়ুয়া বলে, “শনিবার বিকেল থেকে আমাদের কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। খালিপেটে থাকতে হয়েছে। তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করেছিলাম এখানে আর থাকব না। বাড়ি চলে যাব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জামুই (বিহার) শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০১
Share:

এই আবাসিক স্কুলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।

রাতের খাবার ঠিক মতো দেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই বিহারের একটি আবাসিক স্কুলের হস্টেল ছেড়ে পালিয়ে গেল ৫৫ জন ছাত্রী। এক সঙ্গে এত পড়ুয়া পালিয়ে যাওয়ায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যের জামুইয়ের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। স্কুল ছেড়ে রাতারাতি এত ছাত্রী উধাও হয়ে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানান। শনিবার রাতে হস্টেল ছেড়ে পালিয়েছিল ছাত্রীরা। তল্লাশি চালিয়ে তাদের মধ্যে ২২ জনকে হস্টেলে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে পুলিশ। কিন্তু বাকিরা কোথায়, তার এখনও কোনও হদিস মেলেনি।

উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের অভিযোগ, হস্টেলে ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয় না। রাতে বেশির ভাগ দিন অনাহারে কাটাতে হয়। দিনের পর দিন একই ঘটনা চলছিল। রান্নায় সহযোগিতা না করলে খাবার জুটত না বলেও অভিযোগ। তাদের আরও অভিযোগ, ক্লাসে দেরি করে গেলে শিক্ষকরা বকাবকি করতেন। শুধু তাই-ই নয়, পরীক্ষার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১৬০০ টাকার পরিবর্তে ২২০০ টাকা করেও নেওয়া হয়েছে। কেন বেশি টাকা নেওয়া হল, তার কোনও ব্যাখ্যাও দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এক পড়ুয়া বলে, “শনিবার বিকেল থেকে আমাদের কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। খালিপেটে থাকতে হয়েছে। তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করেছিলাম এখানে আর থাকব না। বাড়ি চলে যাব।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওয়ার্ডেন গুড়ি কুমারী যখন রাতে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ৫৫ জন ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওয়ার্ডেন বাথরুমে যেতেই চাবি চুরি করে নেয় তারা। তার পর হস্টেলের গেট খুলে পালায়।

হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ফলে ছাত্রীরা কখন পালিয়েছে টের পাননি। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ওয়ার্ডেনের। তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বলে দাবি। সেই খবর পেয়েই মূল দরজার সামনে থেকে তিন পড়ুয়াকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষী। স্কুল প্রশাসক প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ২২ ছাত্রী ফিরে এসেছে। বাকিদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। কেন তারা পালাল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement