গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
টানা ১২টি বছর ‘আড়ালে’ ছিল মাদ্রাসার গ্রুপ-ডি নিয়োগের ফলাফল। অবশেষে সেই ‘অজ্ঞাতবাস’ ফুরলো। নানা মামলা এবং দুর্নীতির অভিযোগে আটকে থাকা মাদ্রাসার গ্রুপ ডি পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
২০১০ সালে হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলির গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু তার পর এক যুগ কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত ফল জানতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা। প্রথমে পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফল প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়। পরে এ সংক্রান্ত একাধিক মামলাও দায়ের হয় আদালতে। বিচারাধীন বিষয় বলেই মামলাগুলির নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি ফল না প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বন্ধ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়াও। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই জট কাটল বলে আশা পরীক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনিই ২০১১ সালের মাদ্রাসার গ্রুপ-ডি নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুমতি দেন। বিচারপতি বলেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।’’ তবে ফল প্রকাশ হলে ১২ বছর আগে হওয়া এই পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন তাঁরা নিয়োগেরও সুযোগ পাবেন কি না সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ফল প্রকাশ হওয়া মানেই নিয়োগের পথও প্রশস্ত। সেক্ষেত্রে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হতে দেরি হওয়ার কথা নয়। যদি না রেজাল্টের মতো সেটি আবার মামলার ফাঁসে আটকে যায়।