ফাইল চিত্র। রয়টার্স।
কেরলে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের শরীরে ধরা পড়ল করোনাভাইরাস। ফলে এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯।
কেরল রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাইরাসে আক্রান্ত ওই পরিবারের তিন সদস্য সম্প্রতি ইতালিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই কয়েকটি উপসর্গ লক্ষ্য করতেই ওই আত্মীয়রা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরই আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা বলেন, “করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে তাঁদের ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় জানাতে অস্বীকার করেন। ফলে তাঁদের স্ক্রিনিং না করিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়।” শৈলজা আরও বলেন, “পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হাসপাতাল যেতে চাইছিলেন না। পরে তাঁদের বুঝিয়ে সেখানে পাঠানো হয়।”
আক্রান্ত পরিবারটি পাথানামথিত্তা জেলায় থাকে। আপাতত পাথানামথিত্তারই একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিত্সা চলছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টিয়ারিঙেই দুনিয়া প্রতিমার, মহানগরীর একমাত্র মহিলা বাসচালক
আরও পড়ুন: ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কপূর গ্রেফতার
ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর আসে এই কেরল থেকেই। চিনের উহান ফেরত তিন ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহে ভাইরাস মেলে। তড়িঘড়ি তাঁদের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়ে চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা হয়। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই তিন পড়ুয়া এখন সুস্থ।
ভয়াবহ থেকে অতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। চিনের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ইউরোপ ও এশিয়ার ৮৫টি দেশে। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আক্রান্তের সংখ্যাও ১ লক্ষ ছুঁয়েছে। দু’দিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, চিনের বাইরে করোনা ১৭ গুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সব দেশ।
পিছিয়ে নেই ভারতও। একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর আসতেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। সমস্ত রাজ্যকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।