গুরুগ্রামের রাস্তায় বৃষ্টির জল জমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: পিটিআই।
একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন। বৃষ্টির কারণে জাতীয় সড়কেও বিপর্যস্ত হল যান চলাচল। গুরুগ্রামে দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী।
বুধবার সকাল থেকেই গুরুগ্রামে বৃষ্টি হচ্ছে। ভেসে গিয়েছে শহরের একাধিক রাস্তা, অলিগলি। দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়েতে অর্থাৎ ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও জল জমে গিয়েছে। ফলে সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা হয়েছে। জলমগ্ন রাস্তায় দীর্ঘ ক্ষণ যান চলাচল থমকে গিয়েছিল। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
সকালে যানজটের সময় অফিসযাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছিল। রাস্তা দিয়ে গাড়ি এগোচ্ছে না, এ দিকে, অফিসেও গরহাজির হওয়ার উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে অনেককে হেঁটেই অফিস যেতে দেখা গিয়েছে। জলমগ্ন জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে জুতো হাতে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন নিরুপায় অফিসযাত্রীরা। জল ডিঙিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ হেঁটে কেউ কেউ কর্মস্থলে পৌঁছেছেন।
গুরুগ্রামের বৃষ্টি এবং যানজটের একাধিক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নরসিংহপুর চক এবং হিরো হন্ডা চকে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে ছিল। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে ঠেলে ঠেলে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সেই ছবি। এই কারণেই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছিল শহরে।
গুরুগ্রাম পুলিশ এবং নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জলমগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে জল সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও তৎপর ছিল প্রশাসন। ট্র্যাফিক পুলিশের একাধিক দল নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পৌঁছে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে।
গুরুগ্রামের এই যানজটে বিরক্ত স্থানীয়েরা। অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, এ বছর বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পুরসভার বিরুদ্ধেও সমাজমাধ্যমে সমালোচনায় শামিল হয়েছেন অনেকে।