প্রতীকী চিত্র।
বরযাত্রী-সহ বিয়ের আসরে পৌঁছে হবু বর দেখলেন বিয়েবাড়িতে তালাচাবি। কনে উধাও। চোট গিয়েছে আগাম হিসেবে তাঁর থেকে নেওয়া বিশ হাজার টাকাও। বিয়ের মণ্ডপ থেকে এরপরই সোজা থানায়। তবে সেখানেও চমক। চার ‘হবু বর’ আগে থেকেই অপেক্ষারত! একই অভিযোগ নিয়ে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পাঁচ ব্যাক্তিকে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক মহিলা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে ভোপালের কোলার রোড পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
পাঁচ প্রতারিত ‘হবুবর’-এর মধ্যে শেষ ব্যক্তি হারদা জেলার বাসিন্দা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল তাঁর। ভোপালের কোলার রোডের একটি বাড়িতে বিয়ের মণ্ডপ বসবে বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন কনেপক্ষ। তবে সেখানে পৌঁছে তাঁরা দেখেন বাড়িটি তালাবন্ধ। কনেপক্ষকে ফোন করা হলে দেখা যায় তাঁদের ফোন বন্ধ।
ভোপালের পুলিশ সুপার ভূপেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, প্রতারণার এই দলটি চালাত মূলত তিনজন। ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার হিসেবে পরিচয় দেওয়া দুই পুরুষ। ফোন নম্বরের সাহায্যেই তাঁদের খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলেছে, ‘‘তিনজনের এই দলটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশে। যে সব জেলার বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন পাত্ররা, সেই জেলাগুলিকেই বেছে নিতেন এঁরা। প্রথমে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান। তারপর কথা এগোলে ঠিক হত দেখা শোনার দিন। পাত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাত্রপক্ষকেই আসতে হত ভোপালে। পছন্দ হলে বিয়ের জন্য ‘আগাম’ দিতে হত ২০ হাজার টাকা।’’