বৃষ্টিতে জলমগ্ন পুণে। ছবি: পিটিআই।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পুণে। গত কয়েক দিনের নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভাসছে পুণে এবং সংলগ্ন কোলাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমে গিয়েছে রাস্তায়। কোথাও কোথাও কোমর সমান জল জমে গিয়েছে। জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে পুণে-কোলাড় সড়কে তামহিনি ঘাটের কাছে মাটি ধসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে পুণেতে।
গত কয়েক দিনের নাগাড়ে বৃষ্টিতে মুথা নদীর জলস্তর বেড়েছে। নদীর উপর বাবা ভিডে সেতু এখন পুরোপুরি জলের তলায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা মুথা নদীর ধারে ছোট খাবারের দোকান চালাতেন। নদীর জলস্তর বাড়তে দেখে তাঁরা দোকানের জিনিসপত্র অন্যত্র সরাচ্ছিলেন। সেই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক স্কুল। বেশ কিছু আবাসনের ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। জল-যন্ত্রণায় থমকে গিয়েছে পুণের স্বাভাবিক জনজীবন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পুণের ওই এলাকাগুলিতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে শহরবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন দমকল দফতরের কর্মীরা। বৃষ্টিতে বিঘ্নিত মুম্বই এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবনও। অন্ধেরীতে ভূগর্ভস্থ পথে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বই সংলগ্ন একাধিক নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে গণ পরিবহণের উপরেও। ফলে প্রচুর নিত্যযাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবারও মুম্বই এবং শহরতলিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগম মোট সাতটি অঞ্চল থেকে পুর এলাকায় জল সরবরাহ করে। তার মধ্যে ‘বিহার লেক’ বৃহস্পতিবার ভোর ৩টে ৫০মিনিট থেকে উপচে পড়তে শুরু করেছে। শুক্রবারও মুম্বইয়ে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।