প্রতীকী ছবি।
মণিপুরে হওয়া ভুয়ো সংঘর্ষের একটি মামলায় ৯ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই। কিন্তু আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (আফস্পা)-র রক্ষাকবচ থাকায় চার্জশিটে নাম এল না তিন সেনাকর্মীর।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরের ৮১টি ভুয়ো সংঘর্ষের মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়। তৈরি হয় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তদল। একটি মামলা ছিল থংজাম থৈথৈ হত্যার। ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি অভিযান চালায় পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলের কমান্ডো ও সেনাবাহিনীর শিখ রেজিমেন্টের যৌথ বাহিনী। তারা দাবি করে, জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছিল থৈথৈ। কিন্তু সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তদল জানিয়েছে, ঠান্ডা মাথায় থৈথৈকে হত্যা করে, অস্ত্র সাজিয়ে মিথ্যা সংঘর্ষের কাহিনী তৈরি করেছিল সেনা ও পুলিশ। শিখ রেজিমেন্টের কমল সজোত্রা, সর্বজিৎ সিংহ ও বলজিৎ সিংহ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেও সিবিআই জানায়, আফস্পা সেনা জওয়ানদের আইনি ঢাল। তাই তিন জওয়ানের নাম চার্জশিটে রাখা হয়নি।
মণিপুরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়ো সংঘর্ষে নিরীহ ও নিরস্ত্র যুবকদের হত্যার অভিযোগ উঠছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, যেখানে প্রকৃত দোষীদের কোনও সাজাই হবে না এমন তদন্ত অর্থহীন। আফস্পা বলবৎ থাকায় সংঘর্ষ ভুয়ো প্রমাণ হওয়ার পরেও শুধুমাত্র পুলিশকর্মীরাই আদালতে হাজির হচ্ছেন। অথচ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ থাকলেও তাদের গায়ে হাত পড়ে না। সেনা আদালত নিজেদের মতো বিচার করছে বলে জানায়। কিন্তু তার ফল আমজনতা জানতে পারে না। শাস্তি হিসেবে সেনাকর্মী বা সেনাকর্তাদের বদলি, বেতন হ্রাস, পদোন্নতি আটকে দেওয়ার মতো লঘু সাজাই হয়েছে।