সিকিমের রাস্তায় তিস্তার বিধ্বংসী রূপ। ছবি: সংগৃহীত।
সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে লোনক হ্রদ ফেটে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। সেই ঘটনার মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে। তিস্তার জলে একে একে ভেসে আসছে দেহ। নতুন করে সিকিমে ২৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আট জন সেনা জওয়ান। খোঁজ মেলেনি আরও ১৪২ জনের।
সিকিমের আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এখনও বৃষ্টি পুরোপুরি থামেনি। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী চার দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে লাচেন, লাচুং উপত্যকায়। ওই এলাকায় বহু পর্যটকও আটকে আছেন। দৃশ্যমানতা কম থাকায় বাগ্ডোগরা থেকে শনিবার বায়ুসেনার কপ্টার উড়তে পারেনি। চার দিন কেটে গেলেও প্রায় চার হাজার পর্যটক আটকে আছেন সিকিমে।
সিকিমের বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেনা জওয়ান, যাঁরা ওই এলাকায় সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর লোনক হ্রদ ফেটে অন্তত ২৩ জন জওয়ান ভেসে যান।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্তর বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তার উপর সিকিমের চুংথাম বাধের জল ছাড়তে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে জলস্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু হয়ে গিয়েছিল। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট জলের তোড়ে ভেসে যায়। সিকিমে ভারতীয় সেনা ছাড়াও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশ, জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।