CBI Team At Madan Mitra's House

ফিরহাদের পর এ বার মদন মিত্রের বাড়িতেও পৌঁছল সিবিআই, পুর-নিয়োগ নিয়ে সেখানেও চলছে তল্লাশি

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পর এ বার মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও পৌঁছল সিবিআই। রবিবার সকালেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০৪
Share:

মদন মিত্র। —ফাইল চিত্র।

ফিরহাদ হাকিমের পর এ বার মদন মিত্রের বাড়িতেও পৌঁছল সিবিআই। রবিবার সকালে মদনের ভবানীপুরের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ক মদনের দক্ষিণেশ্বরের একটি আবাসনেও তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগকাণ্ডের তদন্তের জন্যই তল্লাশি চালানো হচ্ছে মদনের বাড়ি এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসনে। মদনের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সোজা ঢোকেন ফিরহাদের বাড়িতে। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের একটি দল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে। আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। হানা দেওয়া হয়েছে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। হালিশহরেও গিয়েছে সিবিআই।

এর আগে রাজ্যের আর এক মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। পুর-নিয়োগ মামলায় ৫ অক্টোবর রথীন ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। গভীর রাত পর্যন্ত সেই তল্লাশি চলেছিল। সাড়ে ১৯ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ২টো নাগাদ তদন্তকারীরা রথীনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।

Advertisement

শুধু রথীন নন, একই দিনে ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়ি, বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়ি এবং টিটাগড়ের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টে সেই মামলা উঠলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেয় আদালত। তার পর থেকেই সক্রিয় ইডি এবং সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement