প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
চোখে আঠা ঢেলে, গলার নলি কেটে ৫৪ বছরের এক ব্যক্তিকে খুন করল ২৪ বছরের যুবতী। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর ওয়াশারমেনপেট শহরের একটি খেলার মাঠে। ঘটনার জেরে ২৪ বছরের ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে আদালতেও তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, খুন হয়ে যাওয়া ব্যক্তি যুবতীর বান্ধবীর বাবা। তাঁর নাম আম্মান সেকার। তিনি ছিলেন এক জন কর্পূর ব্যবসায়ী। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে যুবতীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ওই যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। তার পরই ওই যুবতী ও তার পরিবারকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য সমানে হুমকি দিতে থাকেন সেকার। সে জন্যই তাঁকে খুন করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই যুবতী।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর উপর অত্যাচারে কথা জানত তার পরিবারের লোকজনও। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। সেকার তাদের আর্থিক সাহায্যও করতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে ওই যুবতী ও সেকারের মেয়ে একই কলেজে পড়তেন। তাঁরা দু’জনেই স্নাতক পাশ করেছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই যুবতী বলেছে, সাড়ে চার বছর আগে কলেজে পড়ার সময় তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন সেকার। তারপর প্রায়শই চলত অত্যাচার। পরিবর্তে বিভিন্ন দামি জিনিস কিনে দিতেন সেকার।
সম্প্রতি ওই যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। সেই ঘটনার কথা জানার পরই ক্ষেপে যান সেকার। নানা ভাবে বিয়ে ভেঙে ফেলার জন্য চাপ দেন। কিন্তু বিয়ে ভাঙতে রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। তাঁকে ধর্ষণের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান সেকার। সেই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই সেকারকে খুন করার পরিকল্পনা করেন ওই যুবতী।
ঘটনার কয়েকদিন আগে সেকারকে দেখা করতে আসতে বলেন যুবতী। সেকারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তাঁকে উপহার দেবেন বলেও জানান। সেই মতো সেকার চোখ বুজলে চোখে শক্তিশালী আঠা ঢেলে দেন ওই যুবতী। তার পরই ছুরি চালিয়ে দেন সেকারের গলায়। তার পর সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁকে পরে গ্রেফতার করে।