Delhi Heatwave Condition

দিল্লির গরমে মৃত বেড়ে ২০! তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্র, হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠালেন নড্ডা

গত কয়েক দিনে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পর পর অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ২১:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে গরমে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাই সতর্ক হল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যাঁরা, তাঁদের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। আপাতত হিট স্ট্রোকের রোগীদেরই অগ্রাধিকার দিতে বলেছে সরকার।

Advertisement

শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। দাবদাহের জ্বালায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। দিল্লির একাধিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বেশ কয়েক জন রোগীকে। গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। রাজধানী শহরের তিনটি বড় হাসপাতালে এই মরসুমে গরমের কারণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সকল সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, সেখানে বিশেষ তাপপ্রবাহ ইউনিট চালু করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে পরিস্থিতির তত্ত্বাবধান করছেন। হিট স্ট্রোকের রোগীরা আপাতত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে আলাদা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। হিট স্ট্রোক এবং গরম সংক্রান্ত অন্যান্য অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষের কী কী করণীয়, তা জানানো হয়েছে ওই গাইডলাইনে।

Advertisement

গত ২৭ মে থেকে গরম সংক্রান্ত বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ন’জন রোগীর। তাঁদের মধ্যে সাত জনই মারা গিয়েছেন গত দু’দিনের মধ্যে। এ ছাড়া, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালেও গরমের অসুস্থতায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু বুধবারই মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। লোকনায়ক হাসপাতালে গরমের কারণে দু’জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট অজয় শুক্লা জানিয়েছেন, হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর হার অনেক বেশি, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে কারণে তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। হিটস্ট্রোক নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারছেন না, তিনি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত। উপসর্গগুলিকে অন্য কোনও রোগের উপসর্গ বলে ভুল করছেন। রোগী সংজ্ঞা হারানোর পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণে সময় পেরিয়ে গিয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। আপাতত স্বস্তির খবর শোনাতে পারেনি মৌসম ভবন। গরমে দিল্লিতে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement