নিট জালিয়াতির পর্দাফাঁস। ছবি সংগৃহীত।
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট জালিয়াতিকাণ্ডের এক চক্রকে ধরল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনই ডাক্তারি পড়ুয়া। অভিযোগ, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, টাকার বিনিময়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কারচুপি করার অভিযোগও উঠেছে এই চক্রের বিরুদ্ধে।
ধৃতরা হলেন কিশোর লাল, প্রভাত কুমার, সুমিত মান্ডোলিয়া এবং কৃষাণ কেসারওয়ানি। তাঁদের মধ্যে সুমিত এবং কৃষাণ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএসের পড়ুয়া। জয়পুরের বাসিন্দা সুমিত পশ্চিমবঙ্গের এক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর প্রয়াগরাজের কৃষাণ উত্তরাখণ্ডে ডাক্তারি পড়াশোনা করছেন।
অন্য দিকে, রাজস্থানের জোধপুরের বাসিন্দা কিশোর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার কাজ করতেন। অভিযোগ, তিনি ভর্তি প্রক্রিয়ায় কারচুপি করতেন। বিহারের বাসিন্দা প্রভাত তাঁর সঙ্গী ছিলেন। আগে তিনি একটা কোচিং সেন্টার চালাতেন। পরে কিশোরের সঙ্গে মিলে জালিয়াতি শুরু করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে নিট হয়েছিল। সে দিন নয়াদিল্লির ভারতীয় বিদ্যা ভবন মেহতা বিদ্যালয়ে দু’জন ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়েন। তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য আসল পরীক্ষার্থীর সঙ্গে না মেলায় সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। তার পরই তাঁদের আটক করে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে জালিয়াতি চক্রের হদিস পায় পুলিশ।