কলেজের ১৮ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
কলেজের সিনিয়রদের হেনস্থার শিকার হলেন ২ জুনিয়র ছাত্র। তাঁদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি অসমের শিলচরের এনআইটি-র (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি)। দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজের ১৮ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। রবিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি গত ৩১ মার্চের। সিনিয়রদের মারধরে জখম হয়েছেন কলেজের পড়ুয়া সিদ্ধান্ত পাটিয়া। চিকিৎসার জন্য তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শনিবার ১৮ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সিদ্ধান্ত।
কলেজের সিনিয়ররা তাঁর মাতৃভাষা নিয়ে তাঁকে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেছেন সিদ্ধান্ত। গত মঙ্গলবার রাতে কলেজের ক্যাম্পাসে ছিলেন তিনি। সিদ্ধান্তের গাড়ি পার্ক করা ছিল। অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সিদ্ধান্তকে গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁকে চড় মারা হয় এবং লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিদ্ধান্ত। তাঁর মাথায় ৩টি কাচের বোতল ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। মারধরের সময় সিদ্ধান্তকে বাঁচাতে ছুটে যান তাঁর এক বন্ধু। অভিযোগ, সিদ্ধান্তের ওই বন্ধুকেও মারধর করা হয়।
সিদ্ধান্তের মা বলেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর ঘটনা। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা উচিত কলেজ কর্তৃপক্ষের। বড়সড় কিছু ঘটে যেতে পারত।’’ সিদ্ধান্তের কথায়, ‘‘একটা সময় ভেবেছিলাম, হয়তো মরেই যাব।’’ অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি এনআইটি শিলচরের ডিরেক্টর রজত গুপ্ত।