গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
পাঁচ দফার ঝাড়খণ্ড ভোট পর্ব শুরুর ঠিক আগে আগে এক গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো রাঁচীতে। ঘটনাটি মঙ্গলবারের হলেও শুক্রবার তা জানাজানি হয়। রাঁচীর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ঋষভ কুমার ঝা জানিয়েছেন, ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কাঁকে থানা এলাকার রাঁচী ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কিলোমিটারের মধ্যে সংগ্রামপুরের বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময়েই বাইক-আরোহী দুই সশস্ত্র যুবক এসে ছেলেটিকে মারধর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে একেবারে কাঁকে-পিঠোরিয়া (রিং রোড) হাইওয়ের উপরে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা তাঁকে পাশের এক নির্জন ইটভাটায় নিয়ে যায়। আরও বন্ধুদের ডাকে। তারা মেয়েটির উপরে অকথ্য নির্যাতন চালায়, গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতা কোনও ভাবে বেশি রাতে বাড়ি ফিরে আসে। পরে সে কাঁকে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বয়স ১৮ থেকে ২৮ এর মধ্যে। অভিযুক্তরা ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি, একটি মোটরবাইক, একটি পিস্তল, কিছু গুলি, আটটি মোবাইল ও ছাত্রীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটিও মিলেছে।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্বের জল মাপতে উত্তর-পূর্বকে ডেকে বৈঠকে শাহ
ঘটনাস্থল থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিবাস। ওই এলাকাতেই থাকেন ডিজিপি, রাঁচী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও। ঝাড়খণ্ড পুলিশের নতুন পুলিশ লাইনও কাছাকাছির মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস পুলিশকে দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলা চালিয়ে দ্রুত দোষীদের কড়া সাজার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।