Unnao Gang Rape

জামিনে বেরিয়ে নাবালিকার বাড়িতে আগুন ‘ধর্ষক’দের, ঝলসে গেল নির্যাতিতার সন্তান ও বোন

উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন দুই তরুণ। জামিনে মুক্তি পেয়ে নাবালিকার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২২
Share:

কী চলছে উত্তরপ্রদেশে! — প্রতীকী ছবি।

১১ বছরের দলিত বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল খাটছিলেন। জামিনে বেরিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে আগুন লাগালেন নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্তেরা। সেই আগুনে ঝলসে গেল নির্যাতিতার ছ’মাসের সন্তান এবং দু’মাস বয়সের বোন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে। দু’টি শিশুকেই কানপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ আছে উত্তরপ্রদেশেই। আবার সেই উন্নাও। এ বার দলিত নাবালিকার ধর্ষণে অভিযুক্তেরা জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আগুন লাগিয়ে দিলেন নির্যাতিতার বাড়িতে। তাতে ঝলসে গেল দলিত নাবালিকার সন্তান এবং তাঁর ছোট বোন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। গত বছ সেপ্টেম্বরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় ওই নাবালিকা।

এ দিকে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে যে দুই যুবক জেলে ছিলেন, তাঁরা নিয়মিত ভাবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য দলিত নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। আর মুক্তি পেয়েই ছোটেন দলিত নাবালিকার বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে নাবালিকা এবং তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর তাঁদের থাকার ঝুপড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুনের আঁচে ঝলসে যায় নাবালিকার ছ’মাস বয়সি পুত্র এবং দু’মাস বয়সি ছোট বোন।

Advertisement

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ছ’মাস বয়সি পুত্রসন্তানের শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং নাবালিকার দু’মাসের ছোট বোনের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দু’জনকেই কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে নির্যাতিতার দাদু এবং কাকা অভিযোগ তুলে নিতে দলিত নাবালিকা এবং তাঁর মা-বাবার উপর চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু নাবালিকার মা-বাবা মামলা তোলায় সায় দেননি। অভিযোগ, এর পরেই নাবালিকার দাদু এবং কাকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন নাবালিকার বাবার উপর। মারাত্মক জখম হয়ে নাবালিকার বাবা বর্তমানে ভর্তি হাসপাতালে। তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ঘটনা। যা সামগ্রিক ভাবে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement