সুরাপান করার কিছু ক্ষণ পর আশার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন স্বামী। মত্ত অবস্থায় হঠাৎ কামাতুর হয়ে পড়েন তিনি। স্ত্রীকে মনের ইচ্ছা জানানোর পর শুরু হয় অশান্তি। মতের অমিল হওয়ায় রাগের বশে স্ত্রীকে খুন করেন ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা শঙ্কর রাম। সোমবার রাতে ছত্তীসগঢ়ের যশপুর জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম আশাবাই। মঙ্গলবার সকালে খুনের অভিযোগে শঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে শঙ্কর এবং আশা দু’জনেই মদ্যপ ছিলেন। সুরাপান করার কিছু ক্ষণ পর আশার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু ,স্বামীর ইচ্ছায় সাড়া দেননি আশা। বরং শঙ্করকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গমে রাজি না হওয়ায় আশার সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে দেন শঙ্কর। অশান্তি বাড়তে থাকায় কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আশা।
স্ত্রীর প্রাণ বাঁচাতে তৎক্ষণাৎ কুয়োর দিকে ছুটে যান শঙ্কর। কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আশাকে উদ্ধার করেন তিনি। স্ত্রীর প্রাণ বাঁচানোর পর আবার একই কারণে ঝগড়া শুরু হয় তাঁদের। আশা দ্বিতীয় বার সঙ্গমে বাধা দেওয়ায় আর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি শঙ্কর। অভিযোগ, রাগের বশে আশার উপর শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, আশার যৌনাঙ্গে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে দেন শঙ্কর।
অত্যাচার করে আশাকে প্রাণে মেরে ফেলেন তিনি। পুলিশের দাবি, খুনের পর সারা রাত স্ত্রীর মৃতদেহের পাশে বসেছিলেন শঙ্কর। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। খুনের অভিযোগে শঙ্করকে গ্রেফতার করে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।