প্রতীকী ছবি।
টেলিকম ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এ সমস্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার! বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেলিকমে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত, এই ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন ছিল।
কেন্দ্রীয় টেলিকমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো সাংবাদিক বৈঠকে সরকারের নয়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া মেনে মাধ্যমেই টেলিকমে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
এতদিন পর্যন্ত ভারতে খুচরো ব্যবসা, বিমান পরিবহণ, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদন, বায়োটেকনোলজি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংবাদ ছাড়া অন্য বিষয়ভিত্তিক সম্প্রচার, বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ উৎপাদন, কয়লা উত্তোলনের মতো কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় খুচরো ব্যবসায় ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রতিবাদে ইউপিএ জোট এবং মন্ত্রিসভা ছেড়েছিল তৃণমূল। মোদী জমানায়, কয়লা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিলে মোদী সরকার ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে এমন প্রতিবেশী দেশগুলির লগ্নিকারীদের জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে ‘স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া’ চালুর কথা জানিয়েছিল। তবে বুধবার অশ্বিনী বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান এবং চিনের ক্ষেত্রে এমন ‘স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া’জনিত সুবিধার বন্দোবস্ত থাকবে না।’’
চলতি বছরের গোড়ায় বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছিল। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এ বার বিদেশি সংস্থাগুলির কাছে দেশের টেলিকম ক্ষেত্র পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়া হল।