দিল্লি পুলিশের অভিযানে ধৃত জঙ্গিরা। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেফতারের দাবি করল দিল্লি পুলিশ। অভিযানের সহযোগী, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘সন্ত্রাস দমন শাখা’ (এটিএস)। পুলিশের দাবি, ধৃত জঙ্গিরা আসন্ন উৎসবের মরসুমে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিক নীরজ ঠাকুর মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ধৃত ছ’জনের মধ্যে দিল্লির ওসামা (২২) এবং উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা জিশান কামার পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা ওমানের মাসকট থেকে নৌকোয় পাকিস্তানে গিয়েছিল নাশকতার পাঠ নিতে। পাকিস্তানে ১৫ দিনের জন্য তাদের একটি খামারবাড়িতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।’’
ওই দলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাভাষীদের উপস্থিতির কথাও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাকিস্তানের ওই জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিসের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এত বড় পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গি মডিউলের সন্ধান মেলেনি বলে জানান নীরজ। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে প্রথমে রাজস্থানের কোটা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন এবং দিল্লি থেকে দু’জন ধরা পড়ে।’’ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে, বিপুল পরিমাণ ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) উদ্ধারের কথাও জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কোটায় ধৃত জঙ্গি নাম জান মহম্মদ শেখ (৪৭)। সে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। অন্য তিন ধৃত উত্তরপ্রদেশের— রায়বরেলীর মূলচাঁদ (৪৭), বাহারাইচের বাসিন্দা মহম্মদ আবু বকর (২৩) এবং লখনউয়ের মহম্মদ আমির জাভেদ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস তিন জঙ্গিকে পাকড়াও করতে দিল্লি পুলিশকে সাহায্য করেছে বলেও জানান নীরজ। তাঁর দাবি, ‘‘আসন্ন দশেরা এবং দীপাবলীর সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটনোর ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল ধৃত ছ’জন জঙ্গি। ওসামা এবং জিশানকে এ জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আইএসআই।’’ ধৃত অন্য চার জনও পাক গুপ্তচর সংস্থার ‘স্লিপার সেল’-এর সদস্য় বলেও জানান তিনি।