রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, এই সাতটি বারের নামের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। কিন্ত কেন এই নামকরণ?
জ্যোতিষ শাস্ত্রে নয়টি গ্রহের বর্ণনা থাকলেও পার্থিব অস্তিত্ব সম্পন্ন গ্রহ সাতটি। সেগুলি হল বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি ও চন্দ্র। রাহু ও কেতুকে বাদ দেওয়া হয়। বাদ দেওয়ার দু’টি কারণ। প্রথমত রাহু ও কেতুর শারীরিক কোনও অস্তিত্ব নেই। দ্বিতীয়ত রাহু ও কেতুকে সর্বদা অসুর বা অশুভ শক্তি হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে বিভিন্ন শাস্ত্রে। এই সাত গ্রহের নামের থেকেই সাত বারের নামকরণ।
দিনের প্রথম হোরার (হোরা ১ ঘণ্টার সমান সময়) অধিপতি গ্রহের নাম অনুসারে বারের নাম রাখা হয়। রবিবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ রবি (সূর্য)। সোমবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ চন্দ্র। মঙ্গলবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। বুধবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ বুধ। বৃহস্পতিবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি। শুক্রবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ শুক্র। শনিবারের প্রথম হোরার অধিপতি গ্রহ শনি। অর্থাৎ সপ্তাহে সাত দিনে রয়েছে সাতটি গ্রহের প্রভাব।
আরও পড়ুন: বক্রী গ্রহ কি সত্যিই আতঙ্কের কারণ?
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেক রাশির প্রতিকূল এবং অনুকূল গ্রহ যেমন আছে, তেমনই প্রত্যেক গ্রহের প্রিয় রংও আছে। প্রত্যেক ব্যক্তির অনুকূল রাশি অনুসারে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার ব্যক্তির ওপর শুভ প্রভাব ফেলে। সঠিক রঙের ব্যবহার দেহজ্যোতি বৃদ্ধি করে কর্মশক্তিপূর্ণ করে তোলে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে রং ব্যবহার করা যায়। তবে নির্দিষ্ট রঙের পোশাক বা বস্ত্র পরিধান সবথেকে সুবিধাজনক পদ্ধতি।
কোন বারে কী রঙের বস্ত্র বা পোশাক পরা শুভ—
রবিবার: হাল্কা লাল বা কমলা রঙের পোশাক।
সোমবার: সাদা বা রূপালী রঙের পোশাক।
মঙ্গলবার: গাঢ় লাল বা কমলা রঙের পোশাক।
বুধবার: সবুজ রঙের পোশাক বুধবারের জন্য শুভ।
বৃহস্পতিবার: যে কোনও হলুদ রঙের পোশাক শুভ।
শুক্রবার: যে কোনও সাদা রং, হাল্কা গোলাপি রঙের পোশাক।
শনিবার: নীল (নেভি ব্লু) বা কালো রঙের পোশাক শুভ ফল দায়ক।