হস্তরেখা বিচারে গ্রহের ক্ষেত্রের গঠন যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনই ফলের পরিবর্তন ঘটে একাধিক গ্রহের ক্ষেত্রের বলিষ্ঠ গঠনে।
আমরা জানি দেবগুরু বৃহস্পতি শিক্ষা, জ্ঞান, ধর্ম, সন্তান, প্রতিষ্ঠার নির্দেশক। বৃহস্পতির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে শিক্ষিত, জ্ঞানী, ধার্মিক, প্রতিষ্ঠিত হওয়া বোঝায়। বৃহস্পতির সঙ্গে অন্যান্য গ্রহের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে তার ফল কী, দেখে নেওয়া যাক—
বৃহস্পতি এবং শনির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, বিশিষ্ট, বিখ্যাত, সম্ভ্রান্ত, এবং বিশ্বাসী।
বৃহস্পতি এবং রবির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, ধনী ,সম্মাননীয়, এবং উচ্চপদস্থ পদ।
বৃহস্পতি এবং চন্দ্রের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, সচেতন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
বৃহস্পতি এবং বুধের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, সৎ, গণিত, সাহিত্য, জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী এবং বুদ্ধিমান।
আরও পড়ুন: দুর্বল রবির জন্য ছোটবেলা থেকে এই সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়
বৃহস্পতি এবং মঙ্গলের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, বীর, সাহসী, রাজনীতিতে আগ্রহী এবং সফল।
বৃহস্পতি এবং রাহুর ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, আত্মবিশ্বাসী, রহস্য উন্মোচনে দক্ষ।
বৃহস্পতি এবং কেতুর ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, পার্থিব ক্ষেত্রে বাধা, আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে সফল।
সুগঠিত শনির ক্ষেত্রকে ভগবানের আশীর্বাদ বলা হয়। শনির সঙ্গে অন্যান্য গ্রহের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে কী কী ফল লাভ করা যায় দেখে নিন—
শনি এবং রবির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানমনস্ক।
শনি এবং বুধের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে সক্ষম, যুক্তিবাদী।
শনি এবং শুক্রের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, স্বার্থপর, প্রণয়কারী, উদ্দীপক, প্রেমের জন্য সব ত্যাগ করতে পারে।
শনি এবং রাহু সুগঠিত হলে, শুভ গুণসম্পন্ন, হঠাৎ প্রাপ্তি।
শনি এবং কেতু সুগঠিত হলে, উদ্বিগ্নতা ও মানসিক অশান্তি।
শনি এবং চন্দ্র সুগঠিত হলে, রহস্যময় ব্যক্তিত্ব।
শনি এবং মঙ্গল সুগঠিত হলে, রাগী, কলহপ্রিয়।