১) করতলে ছোট ছোট রেখাগুলি আমাদের নিজেদের মতো করে পরিবর্তন আনতে পারে যদি আমরা ‘ল’স অব অ্যাফ্যারমেশান’ অনুসরণ করে পজিটিভ চিন্তা শুরু করি, সেখানে অন্যের সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষতির চিন্তা না করে ভাবতে পারি।
২) আমরা অনেকেই জানি না, ১৮ বছরের আগে কারও করতল বিচার করা উচিত নয়, কারণ তখন হস্তরেখার গড়ে ওঠা শেষ হয়নি। হাতের রেখা মেডিক্যাল সায়েন্স অনুযায়ী তখনও গড়ে উঠতে বাকি রয়েছে।
৩) জ্যোতিষ মতে কালপুরুষের রাশি চক্রে যেমন ১২টি রাশি রয়েছে, আমাদের করতলে ঠিক একই ভাবে ১২টি রেখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: করতলে উন্নতিসূচক রেখা কোনগুলি
৪) হাত দেখার বা করতলে রেখার বিচার করার শ্রেষ্ঠ সময় সকালে ঘুম ভাঙার পর আর ব্রেকফাস্টের আগে।
৫) অনেক হস্তরেখাবিদ বলে থাকেন বাম হাতের করতল থেকে অতীত বিচার আর ডান হাতের করতল থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিচার। বাস্তবিক পক্ষে তা কিন্তু নয়। প্রথমেই জাতক/জাতিকার কোন হাত অ্যাক্টিভ সেটা দেখতে হবে। যার বাম হাত অ্যাক্টিভ তার ডান করতল থেকে অতীত বিচার করতে হবে, বিপরীত ভাবে যার ডান হাত অ্যাক্টিভ তার বাম করতল থেকে অতীত বিচার করতে হবে। অনেকে বলে থাকেন, ছেলেদের ডান হাত আর মেয়েদের বাম হাত, এ তত্ত্বও ঠিক নয়।
৬) পৃথিবীর প্রায় সব করকোষ্ঠী বিচারক এই ব্যাপারে একমত যে প্রথম করতলে রেখার বিচার বা পামিস্ট্রির সাবজেক্টটির উৎপত্তি ভারতবর্ষে, তার পর তিব্বত ও চিন হয়ে গ্রিসে ও মিশরে যায়। তার পর সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
৭) যে ব্যক্তির হাতে যত কম সংখ্যক রেখা থাকবে সে সব থেকে ভাগ্যবান ও সুখী।
৮) করতলে ছোট ছোট রেখাগুলি প্রতি ছয় মাস পর পর পরিবর্তন হয়ে থাকে। ব্যতিক্রম বুড়ো আঙুলের রেখাগুলি।
৯) যাদের হাতের করতল ক্ষেত্রফল বড় তারা ভাল প্ল্যানার। তারা অনেক সময় ধরে চিন্তা করে, ভাল করে চিন্তা করতে বা ভাবতে পারে, আর যাদের করতলের ক্ষেত্রফল ছোট, তারা অ্যাক্টিভ, কর্মতৎপর ও সব সময় গতিময়। এদের ভাবনার ক্ষমতা কম।
১০) যাদের করতলের তুলনায় আঙুলগুলি দৈর্ঘ্যে লম্বা তারা ভীষণরকমভাবে পারফেকশনিষ্ট, সব কিছুকে নিখুঁতভাবে অনুভব করে কাজ করে তা যত ছোটো কাজই হোক না কেন। আর যাদের করতলের তুলনায় বেশ ছোটো তারা খুব আবেগপ্রবণ মানসিকতার হয়ে থাকে, একটুতেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে, পুরনো কাজ ঠিকমতো শেষ করার আগেই নতুন কাজ ধরে ফেলে।
১১) যাদের করতলে আঙুলগুলি দূরে দূরে ও ফাঁকা ফাঁকা তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আবিষ্কারক, সিদ্ধান্তে পটু, সাহসী, পথপ্রদর্শক ও ব্যবহারে মহৎ। আর যাদের আঙুলগুলি গায়ে গায়ে আঠার মতো লেগে থাকে, ফাঁক নেই বললেই চলে, তারা স্বভাবে ভিতু ও সন্ত্রস্ত্র গোছের হয়ে থাকে।
১২) হৃদয়রেখার থেকে নিষ্ঠুরতার বিচার হয়। অর্থাৎ, হৃদয়রেখার গড়ন বলে দেবে কে কতটা নিষ্ঠুর।