যদি কোনও জন্মছকে রবি ও শুক্র খুব কাছাকাছি বা একই ভাবে অবস্থান করে, তা হলে দারিদ্র যোগ সৃষ্টি হয়। আবার লগ্নের দশমে, রবির একাদশে, চন্দ্রের অষ্টমে কোনও গ্রহ না থাকলেও এই যোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই দারিদ্র যোগ যদি কোনও জন্মছকে থাকে, তা হলে একটি মানুষের সমগ্র জীবনে অত্যন্ত যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। অভাব অনটন প্রায় সময়েই জাতককে তাড়িয়ে বেড়ায়। এই যোগ থাকলে কখনওই সহজে আর্থিক উন্নতি হবে না।
স্বচ্ছলতা যেমন মানুষের জীবনে আশির্বাদ, ঠিক তেমন দারিদ্র মানুষের জীবনে অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কত মানুষ কত কী করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক উপায়টি না করলে কখনওই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
দারিদ্র যোগের প্রতিকার স্বরূপ কী কী করতে হবে—
• প্রথমেই বলা বাহুল্য যে রবি গ্রহকে সন্তুষ্ট করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি দিন মন্ত্র সহকারে সূর্য প্রণাম করতে হবে।
আরও পড়ুন: আপনার রাশিই বলে দেবে আপনি ঠিক কতটা পরিশ্রমী
• একটি তামার পয়সা নিয়ে তা যে কোনও প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিতে হবে। ভাসিয়ে দেওয়ার পর আর পিছনে ঘুরে দেখা যাবে না।
• মা মাতঙ্গীদেবীর পুজো করলে এই দারিদ্র যোগ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
• এ ছাড়া একটি চুনী ধারণ করতে পারেন। বয়স অনুযায়ী বা শারীরিক ওজন অনুযায়ী তা সঠিক মাপের হওয়া চাই। চাইলে কোনও জ্যোতিষীকে চুনী দেখিয়ে তার পর ধারণ করতে পারেন।
• সাধ্য মতো গরিব দুঃখীকে দান করলে দারিদ্র যোগ অনেকটা কমে যায়।