হাতের রেখায় ভাগ্যের ভাল-মন্দ

মানুষের সমগ্র জীবনের যাবতীয় ভাল-মন্দ, সাফল্য-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ, আনন্দবেদনা, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি হাতে অবস্থিত গ্রহের ক্ষেত্র ও বিভিন্ন রেখায় প্রতিফলিত হয়। আসুন, কী ভাবে হাতের রেখায় ভাগ্যের ভাল-মন্দ প্রতিফলিত হয় তা দেখে নিই।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০০:০৬
Share:

মানুষের সমগ্র জীবনের যাবতীয় ভাল-মন্দ, সাফল্য-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ, আনন্দবেদনা, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি হাতে অবস্থিত গ্রহের ক্ষেত্র ও বিভিন্ন রেখায় প্রতিফলিত হয়। আসুন, কী ভাবে হাতের রেখায় ভাগ্যের ভাল-মন্দ প্রতিফলিত হয় তা দেখে নিই।

Advertisement

১) হাতে যত কম আনুষঙ্গিক রেখা থাকবে, জাতক/জাতিকার জীবনে বাধা-বিঘ্ন, উটকো ঝামেলা তত কম হবে এবং জীবনযাত্রা তত মসৃণ হবে।

২) হাত বেশি সরু, পাতলা বা লম্বাটে ধরনের হলে জাতক/জাতিকার জীবনে অর্থনৈতিক সাফল্য সীমিত হবে। বিত্তশালী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে। একই ভাবে হাতের আঙুলগুলি বেশি সরু বা লম্বা হলে জাতক/জাতিকার লক্ষ্য ও প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থেকে যাবে।

Advertisement

৩) হাতে অবস্থিত সহায়ক রেখাগুলো যদি বেশির ভাগই ঊর্ধ্বমুখী হয়, তা হলে জাতক/জাতিকার জীবনের সব দিকে শুভ ফল পাবে ও সহজে উন্নতি করবে।

৪) যদি হাতে অবস্থিত গ্রহের ক্ষেত্রগুলি খুব নিচু হয় বা সঠিক ভাবে বিস্তৃত না হয় এবং একাধিক অশুভ রেখা বা চিহ্ন দ্বারা পীড়িত হয়, তা হলে জাতক/জাতিকার জীবনে গ্রহের ক্ষেত্রগুলির দুর্বলতার ফলে সার্বিক সুখ, শান্তি ও প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে।

আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনি বন্ধু হিসেবে কেমন?

৫) যদি ভাগ্যরেখা চন্দ্র ক্ষেত্র থেকে, আয়ুরেখা থেকে অথবা মণিবন্ধের মধ্য ভাগ থেকে উত্থিত হয়ে শনির ক্ষেত্র বা বৃহস্পতির ক্ষেত্র পর্যন্ত সূক্ষ্ম ও সোজা হয়ে প্রসারিত হয়, তা হলে জাতক/জাতিকার জীবনে ভাগ্যের প্রসন্নতা লাভ ঘটবে এবং জাতক জীবনে সুপ্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

৬) যদি বুধের আঙুল অর্থাৎ কনিষ্ঠা, অনামিকার প্রথম পর্বের নীচে অবস্থান করে, তা হলে জাতক/জাতিকার স্বাভাবিক বিচার ক্ষমতা ও বুদ্ধির দুর্বলতার কারণে পড়াশোনার অগ্রগতিতে বাধা-বিঘ্ন, সাংসারিক ক্ষেত্রে সমস্যা ও প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

৭) করতল যদি অত্যন্ত নিচু বা গর্তের মতো হয়, বা বসে যায়, তা হলে জাতক/জাতিকার জীবনে প্রতিকূলতা, বাধা-বিঘ্ন তৈরি করবে, প্রতিষ্ঠা বা কৃতিত্ব লাভ করতে পারবে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাগ্য বিপর্যয় বা আর্থিক ক্ষতির শিকার হবে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবল বাধা, বিরূপতা ও শত্রুতা তৈরি করবে।

৮) রবি রেখা যদি হৃদয় রেখার মধ্যস্থল থেকে উত্থিত হয়, রেখাটি সোজা রবির ক্ষেত্রে যায় এবং রেখাটি স্পষ্ট, অভগ্ন ও অশুভ চিহ্ন বর্জিত হয়, তা হলে জাতক/জাতিকা প্রভূত সাফল্য, সৌভাগ্য ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করবে। তার নাম, যশ ও সম্মান ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।

৯) রবি রেখা যদি অস্পষ্ট, ভগ্ন, ক্রস চিহ্ন দ্বারা কাটা বা অশুভ চিহ্ন যুক্ত হয়, তা হলে যথাযথ যোগ্যতা, বিদ্যা, ক্ষমতা ও প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও নাম, যশ,সাফল্য ও প্রতিষ্ঠায় প্রবল বাধা আসবে, সহজে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। যতই ভাল কাজ করুক বা অন্যের উপকার করুক বদনামের ভাগীদার হতে হবে।

১০) হৃদয় রেখার শেষ প্রান্তটি যদি দ্বিমুখী, ত্রিমুখী হয়ে ফর্ক বা ত্রিশূল আকার ধারণ করে, তা হলে জাতক/জাতিকা প্রবল প্রতাপ সম্পন্ন হবে, কর্তৃত্ব ও দাপটের সঙ্গে জীবন কাটাবে এবং জীবনে খ্যাতি, প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক স্বীকৃতি পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement