—প্রতীকী ছবি।
আমাদের সমগ্র জীবনে প্রত্যেকটা মানুষের উপর গ্রহের শুভ অশুভ প্রভাব থাকে। এই প্রভাবকে বয়ে নিয়েই আমাদের জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে হয়। তবে এই প্রভাব যদি শুভ হয়, তা হলে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু যদি এই প্রভাব কোনও ভাবে অশুভ হয়, তা হলে মানুষের জীবনে আসে নানা সমস্যা। আর সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বেশ কিছু উপায়ের কথা বলা আছে। এই উপায়গুলি যদি সঠিক ভাবে পালন করা যায়, তা হলে জীবনে মা লক্ষ্মী দেবীর কৃপা পাওয়ার সঙ্গে ভাগ্যও হবে উজ্জ্বল।
কী করলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন
১) যদি জন্মছকে কোনও ভাবে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব থাকে তা হলে, প্রতি শনিবার শিবলিঙ্গে একটা করে লবঙ্গ অর্পণ করতে হবে। এই কাজটা পর পর ৪০ দিন করতে হবে। এর ফলে রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
২) যদি চাকরি পেতে দেরি হচ্ছে বা কর্মে সফলতা আসছে না, তবে যখন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া হয়, তখন নিজের মুখে একটা লবঙ্গ রেখে নিন এবং কর্মের জায়গায় পৌঁছে নিজের ইষ্ট দেবতার নাম জপ করতে থাকুন এবং পার্থনা করুন কর্মে সফলতা পাওয়ার।
৩) যদি চাকরি পেতে খুব বেশি দেরি হয় এবং প্রচুর চেষ্টা করার পরও চাকরি পাওয়া না যায় তা হলে, মঙ্গলবার দিন হনুমানজীর মন্দিরে একটা মাটির প্রদীপে চামেলির তেল দিয়ে, প্রদীপটা প্রজ্বলিত করুন এবং প্রদীপের মধ্যে একটা লবঙ্গ দিয়ে দিন। পর পর ২১টা মঙ্গলবার এই ক্রিয়াটা করতে হবে।
৪) যদি খুব বেশি পরিমাণে টাকা পয়সা ব্যয় হয় তা হলে, যে কোনও একটা শুক্রবার মা লক্ষ্মী দেবীর সামনে পাঁচটা লবঙ্গ ও পাঁচটা কড়ি রেখে মা লক্ষ্মী দেবীর পুজো করুন। পুজো শেষে লবঙ্গ আর কড়িগুলো একটা লাল কাপড়ে বেঁধে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন, এতে খুব ভাল উপকার পাওয়া যাবে।