জন্ম মাস অনুযায়ী বলা যায় জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট। তাঁর স্বভাব, ভাগ্য, বিবাহিত জীবন, পড়াশোনা, কর্মজীবন তথা প্রায় সব কিছুই বলা যেতে পারে জন্ম মাস অনুযায়ী। দেখে নেওয়া যাক আষাঢ় মাসে জন্মানো ব্যক্তিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট।
যাঁরা আষাঢ় মাসে জন্মগ্রহণ করেন, তাঁদের জীবন অত্যন্ত দোটানার মধ্যে চলে। অর্থাৎ জীবনে দ্বৈত ভাব লেগেই থাকে। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই অস্থিরতা কাজ করে। যার ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া একটু কষ্টকর হয়ে পড়ে। বেশি দুশ্চিন্তা সহ্য করতে পারেন না। তবে যে কোনও কাজে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
একটি কাজ নিয়ে এঁরা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না, একের অধিক কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন। আষাঢ় মাসে জন্মানো জাতক-জাতিকারা উচ্চাভিলাসী প্রকৃতির হন। সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা কিছু সম্ভব করেন।
এঁদের মনে যেহেতু সব সময় দোটানা ভাব কাজ করে, সেই জন্য যদি কাউকে এঁদের ভাল লাগে, তা হলে তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন হবে, তাঁকে ঘিরে মনে প্রচুর সংশয় কাজ করার ফলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী জেনে নিন জীবনে কী ধরনের সমস্যার কবলে পড়তে হতে পারে
আষাঢ় মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খুব প্রখর হয়। যে কোনও কাজের পূর্বাভাস এঁরা পান যা অন্য সব মাসে জন্মানো বক্তিদের মধ্যে থাকে না। এঁদের মিষ্টি কথার দ্বারা ভুলিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
বিবাহিত জীবন খুব সুখের তা বলা যায় না। এঁদের জীবনে একের অধিক বিবাহের যোগ থাকে। কার্তিক মাস, পৌষ মাস, ফাল্গুন মাসের জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে বিয়ে করা শুভ। অগ্রহায়ণ মাসে যাঁদের জন্ম তাঁদের সঙ্গে বিবাহ শুভ নয়।
বন্ধু নির্বাচন খুব বুঝে করতে হবে। বন্ধুর দ্বারা উপকার হয়তো কোনও কোনও সময় পাবেন কিন্তু সব বন্ধু বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। এঁরা শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, বক্তা এই ধরনের কাজের উপযুক্ত হন। নার্ভ, পেটের সমস্যা নিয়ে ভোগান্তি হতে পারে।
শুভ রং: হলুদ।
অশুভ রং: সাদা।
শুভ বছর: ২৩, ৩৩, ৪২, ৫৩।