জেনে নিন গণেশ চতুর্থীর পুজোর সময় শুরু কখন। ছবি: সংগৃহীত।
দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী গৌরীর পুত্র শ্রীগণেশ। শ্রীগণেশ সিদ্ধিদাতা। সব কর্মের সিদ্ধিদাতা অর্থাৎ, সাফল্য প্রদানকারী দেবতা। হিন্দু শাস্ত্রমতে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধিদাতা।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময়ে মাতা দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী পুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র শ্রীগণেশের মস্তক ভস্মীভূত হয়। এমন অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তীমস্তক দ্বারা শ্রীগণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ রূপ দর্শনের কারণে শ্রীগণেশ কি দেবতা রূপে পূজিত হবেন এই চিন্তায়। অবশেষে দেবতাগণের আশীর্বাদে শ্রীগজানন সিদ্ধি বা সাফল্য লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সব শুভকর্মে এমনকি, সব পূজা প্রারম্ভে সিদ্ধিদাতার পূজা বিধি। সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে সমস্ত কর্মে সাফল্য আসে।
স্কন্দপুরাণ মতে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি। বিশ্বাস এই দিনে শ্রীগজানন আশীর্বাদ দানের উদ্দেশ্যে মর্তে আগমন করেন। বিশ্বাস এবং ভক্তিভরে উপাসনা করলে সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ মেলে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে –
চতুর্থী তিথি আরম্ভ –
বাংলার– ১ আশ্বিন, সোমবার।
ইংরেজি– ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার।
সময়– দিবা ১২টা ৪১ মিনিট।
চতুর্থী তিথি শেষ –
বাংলা– ২ আশ্বিন, মঙ্গলবার।
ইংরেজি– ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার।
সময়– দিবা ঘ ১টা ৪৪ মিনিট।
অমৃতযোগ- দিবা ঘ ৬ টা ১৫ মধ্যে, পুনঃ ৭ টা ৪ মিনিট গতে ১১টা ৭ মিনিট মধ্যে।
শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–
চতুর্থী তিথি আরম্ভ–
বাংলার– ৩১ ভাদ্র, সোমবার।
ইংরেজি– ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার।
সময়– ঘ ১০টা ৩০ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড।
চতুর্থী তিথি শেষ–
বাংলার– ১ আশ্বিন, মঙ্গলবার।
ইংরেজি– ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার।
সময়– ঘ ১০ টা ৫৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড।
অমৃতযোগ- দিবা ঘ ৬ টা ১৫ মধ্যে, পুনঃ ৭ টা ৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড গতে ১১টা ৬ মিনিট ১২ সেকেন্ড মধ্যে।
সৌভাগ্য চতুর্থী ব্রত, সিদ্ধি বিনায়ক ব্রতম, শ্রী শ্রী গণেশ পূজা। মহারাষ্ট্রে দশ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী গণেশ পূজা উৎসব।