গণেশপুজোয় উপোস করুন, কিন্তু সুস্থ থাকা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার গণেশপুজো। গণেশ চতুর্থীর দিন অনেক বাঙালি বাড়িতেই ইদানীং জাঁকজমক করে পুজো হয় সিদ্ধি বিনায়কের। বাড়িতে পুজো হওয়া মানেই উপোস করতেই হয়। যত ক্ষণ না পুজো সম্পূর্ণ হচ্ছে, জলস্পর্শ করা যাবে না। উপোস করে পুজো দিলে মনের শান্তি হয় বটে, কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাৎক্ষণিক কোনও সমস্যা না হলেও পরে নানা অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই উপবাস করলেও শরীর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। উপোস করেই ফিট থাকার উপায়গুলি জেনে রাখতে পারেন।
প্রোটিন খান বেশি করে
ভারী খাবার না খেলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই এমন খাবার বেছে নিতে হবে, যাতে ভাত, রুটি না খেয়েও চাঙ্গা থাকা শরীর। সে ক্ষেত্রে প্রোটিন হল আদর্শ বিকল্প। কাঠবাদাম, দই, পনির— এই ধরনের খাবার খেতে পারেন। দিনের শেষেও চাঙ্গা থাকবে শরীর।
উপোস ভাঙুন ভারী খাবার খেয়ে
অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকার পর প্রথমেই ভাজাভুজি খাবেন না একেবারেই। তা হলে গ্যাস-অম্বলের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। উপোস ভাঙুন ফাইবার সমৃদ্ধ কোনও খাবার খেয়ে। সে ক্ষেত্রে আর হজমের গোলমাল কিংবা গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি থাকবে না। ওট্সের খিচুড়ি, দালিয়া, সাবুর খিচুড়ি খেতে পারেন।
মাঝেমাঝেই খাবার খান
একেবারে পেট খালি রাখা ঠিক হবে না। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে তো বটেই, না থাকলেও মুশকিলে পড়তে পারেন। তার চেয়ে মাঝেমাঝেই কিছু না কিছু খান। মাখানা, ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম খেতে পারেন।
জল খান বেশি করে
উপোস করলে সুস্থ থাকতে বার বার জল খেতে হবে। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে, আর খিদেও কম পাবে। জল কম খেলে হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, ক্লান্ত লাগে। পর্যাপ্ত জল খেলে এমনটা হবে না। তাই উপোসের মাঝে জলের পাশাপাশি শরবত খাওয়া যেতেই পারে। ডাবের জল কিংবা আখের রসও খেতে পারেন।