হস্তরেখা বিচারে গ্রহের ক্ষেত্র গঠন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ গ্রহের ক্ষেত্রের গঠনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রেখা বা লাইনের গঠন।
গ্রহের ক্ষেত্রর চূড়ার (মাউন্ট) গঠন অনুসারে গ্রহের শুভ অশুভ বিচার করা হয় (কিছু চিহ্ন বা রেখার উপরও নির্ভর করে)। যা দেখে ওই ব্যক্তির জীবনে গ্রহের শুভ অশুভ প্রভাব খুব সহজেই বোঝা যায়।
বৃহস্পতি: তর্জনীর নিম্ন ভাগ দেবগুরু বৃহস্পতির ক্ষেত্র। বৃহস্পতি শিক্ষা, জ্ঞান, ধর্ম, সন্তান, প্রতিষ্ঠার নির্দেশক। বৃহস্পতির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে, শিক্ষিত, জ্ঞানী, ধার্মিক, সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হওয়া বোঝায়। এই ধরনের ব্যক্তি অন্যকে প্রভাবিত করার গুণ সম্পন্ন হন। সমাজে বিশেষ শুভ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: যে সব মানুষের হাতে ছ’টি আঙুল থাকে তাঁরা কেমন প্রকৃতির হন
শনি: মধ্যমার নিম্ন ভাগ শনি গ্রহের ক্ষেত্র। শনির ক্ষেত্র সুগঠিত হওয়ার অর্থ, বিশেষ গুণসম্পন্ন হওয়া। এই আঙুলকে ভগবানের শুভ আশীর্বাদ বলা হয়। কারণ ভাগ্যরেখা এই গ্রহের ক্ষেত্রে শেষ হয়। শনির ক্ষেত্র সুগঠিত হলে সেই ব্যক্তিকে ভাগ্যবান বলা হয় এবং এঁরা অনেক উন্নতি করতে পারেন। যে কোনও কাজকে সম্মান করেন।
রবি: অনামিকার নিম্ন ভাগ রবি গ্রহের ক্ষেত্র। সুগঠিত রবির ক্ষেত্র সাফল্য নির্দেশ করে। রবির শুভ প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ রবি অর্থাৎ সূর্য ছাড়া পৃথিবী যেমন অন্ধকার, শুভ রবির প্রভাব ছাড়া মানব জীবনও অন্ধকার। অর্থাৎ উন্নতির পথ দুর্গম। রবির ক্ষেত্র সুগঠিত হওয়ার অর্থ রবির আশীর্বাদ লাভ, যা উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। যেমন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ইত্যাদি।
বুধ: কনিষ্ঠার নিম্ন ভাগ বুধ গ্রহের ক্ষেত্র। সুগঠিত বুধের ক্ষেত্র বুদ্ধিমান, চতুর, উপস্থিত বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া বোঝায়। ব্যবসায় সাফল্য নির্দেশ করে।
শুক্র: বৃদ্ধাঙ্গুলির নিম্ন ক্ষেত্রকে শুক্রের ক্ষেত্র বলে। শুক্রের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে জাতক বুদ্ধিমান এবং সুদর্শন হন। বিপরীত লিঙ্গকে সহজেই আকৃষ্ট করার ক্ষমতা সম্পন্ন হন এঁরা।
মঙ্গল: বুধের ক্ষেত্রের নিম্নাংশকে মঙ্গলের ক্ষেত্র বলা হয়। মঙ্গলের ক্ষেত্র উন্নত হলে সাহসী, ক্ষমতাবান হওয়া বোঝায়। মঙ্গলের সঙ্গে ভুমি, বাড়ি বা স্থাবর সম্পত্তির সম্পর্ক আছে। মঙ্গলের সঙ্গে অনান্য গ্রহের অবস্থান শুভ হলে স্থাবর সম্পত্তি হয়।