ফাইল চিত্র।
এমন কিছু কাজ রয়েছে যা মহালয়ার দিন করলে জীবনে আসতে পারে বিস্ময়কর পরিবর্তন। অনেকেই এই পুণ্য তিথিতে তর্পণ করেন পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে। এ ছাড়া এমন কিছু সহজ টোটকা রয়েছে, যা বদলে দিতে পারে ভাগ্যের চাকা।
টোটকাগুলো কী কী—
১) সাধারণত সারা বছরই আমরা সকাল ও সন্ধ্যায় বাড়িতে শাঁখ বাজিয়ে থাকি। অর্থাৎ নিত্যপুজো করার পর ও সন্ধ্যায় দু’বার আমরা শাঁখ বাজাই। কিন্তু মহালয়ের দিন ঘন ঘন বাড়িতে শাঁখ বাজানো খুব শুভ বলে মানা হয়। এই দিন বার বার শাঁখ বাজালে সংসার সুখ শান্তিতে ভরে উঠবে। কিন্তু একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তিন বারের বেশি শাঁখ বাজানো যাবে না। অর্থাৎ বার বার শাঁখ বাজাতে হবে তিন বার করে।
২) মহালয়ের দিন থেকে শুরু করে পর পর ন’দিন মাটির প্রদীপ জ্বালতে হবে। মাটির প্রদীপ নিয়ে তা সরষের তেল বা ঘি দিয়ে জ্বালতে পারেন। প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাড়ির সদর দরজার বামদিকে একটি প্রদীপ জ্বালতে হবে। পরের দিন সকালে সেই জ্বালানো প্রদীপটি সরিয়ে আবার নতুন প্রদীপ জ্বালতে হবে। এই ভাবে পর পর ন’দিন এই কাজ করলে জীবন থেকে নানা সমস্যা কেটে যাবে।
৩) মহালয়ার দিন সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে একটি তামার ঘটিতে গঙ্গাজল, কিছুটা কালো তিল, অল্প আতপ চাল, দুধ ও সাদা ফুল মেশান এবং বাড়ির কোনও ফাঁকা জায়গায় গিয়ে মাথার ওপর থেকে পিছন দিকে তিন বার জল ফেলুন। জল ফেলার সময় ‘ওঁ কুলদেবতায় নমঃ’ মন্ত্রটি তিন বার উচ্চারণ করতে হবে। এর ফলে জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকবে।
৪) মহালয়ার দিন সকালবেলা একটি বড় আকারের রুটি তৈরি করে তার ওপর চারটে লাড্ডু রাখুন। রুটির চার কোণে চারটি লাড্ডু রেখে মনের কামনা ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে। তার পর রুটিটা চারটে টুকরো করে একটি টুকরো গরুকে, একটি টুকরো কুকুরকে, একটি টুকরো কাককে এবং শেষ টুকরোটি কোনও গরিব মানুষকে দিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন তিনি অসন্তুষ্ট না হন। এর ফলে সারা বছর জীবনে ভাল কিছু ঘটতে থাকবে।