জয়পুরে আগুনে পুড়ে গিয়েছে ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত।
আচমকাই জোরালো বিস্ফোরণ। তার পরই গোটা বাসে ধরে গেল আগুন। চার পাশ থেকে তখন বাঁচানোর জন্য আর্ত চিৎকার। লোকজন ছোটাছুটি করছেন প্রাণভয়ে। আবার একটা বিস্ফোরণ। এ বার ঠিক বাসের কাছেই। জ্বলছে বাস। ভিতরে তখন যাত্রীরা বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করছেন।
এক যাত্রী জানিয়েছেন, বাসের মূল দরজা বন্ধ ছিল। অনেকে জানলার কাচ ভেঙে লাফ মারেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা, শিশুও ছিল। স্থানীয়েরা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তত ক্ষণে বাসের সামনে অংশ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছিল। আর তাতেই ঝলসে মৃত্যু হয় ছয় যাত্রীর। বেশ কয়েক জন যাত্রী ঝলসে গিয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।
এক সংবাদমাধ্যমকে প্রত্যক্ষদর্শী সুনীল জানিয়েছেন, বাসে করে রাজসমন্দ থেকে জয়পুরে আসছিলেন। বাসের খুব কাছেই একটি বিস্ফোরণ হয়। চার পাশ তখন আগুন আর আগুন। বাসেও আগুন ধরে যায় আচমকা। যাত্রীরা তখন বাসের বাইরে বার হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। কিন্তু বাসের দরজা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বেরোতে পারছিলেন না। সকলে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলেন। শেষমেশ বাসের জানলা ভেঙে এক এক করে বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু অনেকেই বাসের ভিতরে আটকে পড়েন। স্থানীয়েরা তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু পর পর বিস্ফোরণের জেরে উদ্ধারকাজ চালাতে পারেননি। ফলে বাসের ভিতরেই ঝলসে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে দমকলের ২০-২২টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বেশ কয়েকটি তেলের এবং রাসায়নিকের ট্যাঙ্কারে আগুন লেগে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ জয়পুরের পেট্রল পাম্পের কাছে দাঁড় করানো একটি সিএনজি ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে এলপিজি সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাক। আগুন ধরে যায় দু’টি গাড়িতেই। তার পরই জোরালো বিস্ফোরণ হয়।