বাস্তু মানা সত্ত্বেও অশান্তি ভোগ করতে হচ্ছে? — প্রতীকী ছবি
বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে অনেক আলোচনা আমরা আগেও করেছি। বাস্তু নিয়মে বাড়িঘর তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু সময়ে নিয়ম মেনে বাড়ি-ঘর করার পরও বাড়িতে নানারূপ সমস্যা থেকেই যায়। রোগভোগ, দাম্পত্য কলহ, কর্ম নিয়ে সমস্যা প্রভৃতি নানা রকমের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পরতে হচ্ছে।
এমন সময়ে সকলেই মনে করতে পারেন, বাস্তু মেনে সব কিছু করার পরও কেন এত অশান্তি হচ্ছে। ভয়ও হতে পারে। কেন জীবনে এত অবনতি হচ্ছে, অশান্তি কেন কখনও পিছু ছাড়ছে না, তা নিয়ে চিন্তা হতে পারে। বাস্তুর সাহায্য নেওয়া সত্ত্বেও কেন জীবন এত অসহায় হয়ে উঠছে!
এর প্রধান কারণ হল, আমরা দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের অজান্তেই এমন কিছু বাস্তুদোষ ঘটিয়ে ফেলি, যার ফলে আমাদের জীবনে সঙ্কট অনেক বেড়ে যায়। বাস্তুর নিয়ম ভুলের জন্য তার কুপ্রভাবে পড়তে হয়।
দেখে নেওয়া যাক বাস্তু মানা সত্ত্বেও কেন এত অশান্তি ভোগ করতে হয়
১) প্রথমত, বাড়িতে কখনও মাকড়সার জাল হতে দেওয়া যাবে না। মাকড়সার জাল বাড়িতে যত বেশি হবে, তত বেশি বাড়িতে রাহুর প্রকোপ বাড়বে। রাহুর দৃষ্টি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে হলে বাড়িতে মাকড়সার জাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এতে অনেক প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
২) দ্বিতীয়ত, বাড়িতে একই ঠাকুরের মূর্তি কখনও দু’টি রাখা যাবে না। যেমন শিব ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে আবার ছবিও রেখেছেন, এ রকম করা যাবে না। বিশেষ করে মুখোমুখি তো একদমই নয়। এতে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে অশুভ শক্তি বাসা বাধে।
৩) তৃতীয়ত, ঘরের মাঝখানে যদি কোনও বিম, থাকে তা হলে তার নীচে কখনও শোয়ার ব্যবস্থা করতে নেই। এতেও বাড়ির মানুষদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়।