ভাইরাসের ভবিষ্যৎ যাঁরা জানেন, তাঁরা কী বলছেন

ভূতেরও ভবিষ্যৎ আছে। করোনার ভবিষ্যৎ কী? জানতে গিয়েছিলাম, কিছু জ্যোতিষীর কাছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০০:০৫
Share:

যাঁরা সব জানেন, তাঁরা কী বলেন? অবশ্য এমনটা যে হবে, সে কথা আগে কেউ বলেননি। এখন আমরা সবাই জানি। যা জানি না, তা হল, কত দিন?

Advertisement

ভূতেরও ভবিষ্যৎ আছে। করোনার ভবিষ্যৎ কী?

জানতে গিয়েছিলাম, কিছু জ্যোতিষীর কাছে। পার্থপ্রতিম আচার্যের মতে, আগামী সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি করোনাভাইরাস ভারত থেকে বিদায় নেবে। বিনোদ কুমারের মতে, আগামী ৩০ জুন থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। প্রতিমাদেবীর বক্তব্য কিছুটা আশাব্যঞ্জক। তিনি বলছেন, আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে এই ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে।

Advertisement

পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, আমরা যদি ৩০/১২/২০১৯ সালের গ্রহ অবস্থানের দিকে নজর দিই, তা হলে দেখব, কালপুরুষের প্রথম রাশি মেষের অনুপাতে তৃতীয় রাশি মিথুনে রাহু অবস্থান করছে। মিথুন রাশির অধিপতি বুধ জ্যোতিষ মতে একটি শিশু গ্রহ বা বালক গ্রহ রূপে পরিচিত। তাই ছেলেমানুষিতে সিদ্ধহস্ত। দেবগুরু বৃহস্পতি এখন ধনু রাশিতে আছেন। এর ফলে সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটে। তিনি স্বগৃহে ফেরত এলে অবস্থার উন্নতি ঘটবে। আসবেন তো বটে, কিন্তু কবে? পার্থবাবু বলছেন, সেটা হবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। তবে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। ভয় নেই, এপ্রিলে রবি যখন তুঙ্গে আসবে, তখন পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনি বন্ধু হিসেবে কেমন?

বিনোদবাবুর মতে, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলেই এই অসুখ। পরিচ্ছন্ন জীবনে ফিরলে এই অসুখ হবে না। তাঁর মতে, ২০২০ সালে ভারতের শাসক গ্রহ বৃহস্পতি। উনি ৩০ জুন থেকে ২০ নভেম্বর মকর রাশিতে অবস্থান করবেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকবে।

প্রতিমাদেবী বলছেন, কেতু আর রাহু যখন মঙ্গল আর বৃহস্পতির সঙ্গে অবস্থান করে, তখন তার খারাপ অবস্থা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ৩০ মার্চ বৃহস্পতি কেতুকে ছেড়ে মকরে প্রবেশ করছে। তখন করোনার প্রভাব কমবে। আরও ভাল খবর আছে। সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করছে ১৩ এপ্রিল। এই সময় সূর্যের তেজে ভাইরাসের প্রভাব কমতে থাকবে বা পুরোপুরি ধ্বংস হবে। তাঁর আরও একটি ভবিষ্যদ্বাণী, এই সময় ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।

জ্যোতিষীরা আগে বলেননি। সেই জন্যই সতর্ক ব্যাটসম্যানের মতো ভেজা মাটিতে প্রতিটি বল দেখে খেলছেন। আজকে কালকের আশা কেউ দিচ্ছেন না। সবারই বক্তব্য, কয়েক মাসের মধ্যে সুরাহা হতে পারে। আর সেটাও নির্ভর করছে চিকিৎসকদের উপর নয়, বৃহস্পতি, মকর, মেষ, কেতু আর রবির উপর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement