বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই মনে করেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। তবে শরীর যত বার্ধক্যের দিকে এগোতে থাকে, ভিতরের কলকব্জাগুলি ধীরে ধীরে নড়বড়ে হতে শুরু করে। এই সময় শরীরের প্রতি খানিক বাড়তি নজর প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
বার্ধক্য অনিবার্য এবং স্বাভাবিক। পঞ্চাশ পেরোলে সুস্থ বার্ধক্যের লক্ষ্যে নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা, মানসিক ভাবে খুশি থাকা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা জরুরি। পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান অব্যাহত থাকলে বয়স বাড়লেও বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না শরীরে।
বার্ধক্যে সুস্থ থাকতে কোন ধরনের খাবার খাবেন?
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
পেশী মজবুত রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সঠিক বিপাক হারের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, ডিম, মুসুর ডাল, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খাওয়া জরুরি।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে ও রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ সব্জি, ফল, মটরশুঁটি, ওটস, ভুট্টা, বাদাম ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়াম অপরিহার্য। এ ছাড়াও স্নায়ু ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা এড়াতে, পেশীর যত্নে ক্যালশিয়াম অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন দুগ্ধজাত পণ্য, সবুজ শাকসব্জি, কাঠবাদাম ইত্যাদি ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার
বয়সকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে, টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে ভিটামিন-ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সূর্যের আলো থেকে ভরপুর ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও খেতে পারেন মাশরুম, দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, ইত্যাদি ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার ।
ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার
মানসিক অবসাদ, ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স ইত্যাদি স্নায়বিক রোগ, হৃদ্যন্ত্র, এবং ত্বকের সুস্থতায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই উপকারী একটি খাবার।
সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, বীজ-তেল, ইত্যাদি খাবারে থাকে আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড যা আপনার শরীরের জন্য ইপিএ ও ডিএইচএ উৎপন্ন করে।