Snoring

নিজের নাক ডাকার শব্দে নিজেই চমকে উঠছেন? ৩ প্রাণায়াম ও ১ পানীয়েই জব্দ হবে সমস্যা

নাক ডাকার সমস্যা এখন আর বয়সের উপর নির্ভর করে না। পাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের অবস্থা তো সঙ্গিন হয়ই, কখনও কখনও নিজের নাক ডাকার শব্দে নিজেরই ঘুম ভেঙে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৬
Share:

মুখের ভিতরের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়লেও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত

সারা দিনের কাজের শেষে বিছানায় পিঠ ঠেকানো মাত্রই নাকের আওয়াজ শুরু। পাশে শুয়ে থাকা মানুষটির ঘুমের দফারফা তো হয়ই। নাকের আওয়াজের এমন তীব্রতা যে, তার চোটে নিজেই অনেক সময়ে আঁতকে উঠছেন হয়তো। নাকের গঠনে কোনও সমস্যা থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ঘুমোলে নাকে আওয়াজও হয়। এ ছাড়াও মুখের ভিতরের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়লেও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।

Advertisement

এই সমস্যা থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে অবশ্যই এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঙ্গে প্রতিদিন কিছু প্রাণায়াম এবং ব্যায়াম করলেও উপকার মেলে।

Advertisement

কোন কোন প্রাণায়ামে নাক ডাকার সমস্যা বশে রাখা যায়?

কপালভাতি

প্রথমে পিঠ টান টান করে, সুখাসনে বসুন। দুই হাত রাখুন হাঁটুর উপর। এ বার নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিয়ে, পেট থেকে জোর করে নিশ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন। এমন ভাবে পেটে চাপ দেবেন, যেন পেট অনেকটা ভিতরে ঢুকে যায়।

এই প্রাণায়াম অভ্যাস করুন প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট।

ভ্রামরি

বজ্রাসনে বসুন। খেয়াল রাখবেন পিঠ যেন টান টান থাকে। এ বার হাতের কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে এক দিকের নাসারন্ধ্র চেপে ধরুন। অন্য দিকের নাসারন্ধ্রে রাখুন বুড়ো আঙুল। এ বার নিজের সুবিধা অনুযায়ী এক দিক আঙুল দিয়ে চেপে শ্বাস নিন। আবার উল্টো দিক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। যে নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়লেন, সে দিক দিয়েই আবার শ্বাস নিয়ে উল্টো দিক থেকে ছাড়ুন।

প্রথমে এই প্রাণায়াম করতে গেলে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খুব বেশি সময় ধরে অভ্যাস করার প্রয়োজন নেই। প্রথমে ৫ মিনিট, তার পর ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করা যেতে পারে।

ভুজঙ্গাসন

এই আসন করতে গেলে প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়তে হবে। তার পর কোমর থেকে দেহের উপরের অংশ হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে যতটা সম্ভব তুলে ধরতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন ঘাড় থেকে মাথা মাটির দিকে ঝুঁকে না থাকে। এই অবস্থায় থাকুন ১ থেকে ২ মিনিট। পর পর তিন বার করে অভ্যাস করুন এই আসন।

নাক ডাকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কোন পানীয়?

ঠান্ডা লেগেও অনেক সময়ে নাক বন্ধ হতে পারে। সেখান থেকেও নাকে আওয়াজ হতে পারে। অতএব ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকলে আগে সেই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতি দিন ঘুমোনোর আগে উষ্ণ দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি অনেকটাই কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement