ছবি- সংগৃহীত
নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সারা। নাচ-গান, সাজগোজ, খানাপিনা এ সব তো আছেই সঙ্গে শহর সেজে উঠেছে আলোর মালায়। তার উপর এ বছর শহরে শীতের আমেজও বেশ উপভোগ করার মতোই। তাই বর্ষবরণের রাতে বাড়ির ছাদেই বন্ধুদের সঙ্গে আসর জমানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। এই সব বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে তো আর হিসাব করে, নিয়ম মেনে মদ্যপান করা যায় না। আবার বেহিসাবি হওয়ার ফলও যে খুব ভাল হয়, তা-ও নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত মদ্যপান করার জের চলে পরের দিন পর্যন্ত। তাই এক দিনের আনন্দ যাতে নিরানন্দে পরিণত না হয়, তার জন্য আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারলে ভাল।
মদ্যপানের পরের দিনও যদি শারীরিক অস্বস্তি কাটতে না চায়, কী কী উপায় অবলম্বন করতে পারেন?
জল
গত রাতের মদ্যপানের জের যদি পরের দিন সকালেও কাটতে না চায়, সে ক্ষেত্রে জলই হতে পারে আপনার পরম বন্ধু। অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেললে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই একবারে অনেকটা জল না খেতে পারলে, সারা দিন অল্প অল্প করে জল খেতে থাকুন। এ ছাড়াও মদ্যপানের পর যে পরিমাণ দূষিত পদার্থ জমে, তা শরীর থেকে ধুয়ে বার করতে গেলেও জলের প্রয়োজন।
মধু
অতিরিক্ত মদ্যপানের পর ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ধরা কাটাতে পারে মধুতে থাকা পটাশিয়াম। মধুতে আছে ফ্রুক্টোজ়, এক প্রকার প্রাকৃতিক চিনি। যা অতিরিক্ত মদ্যপানের পরও বিপাকহারে কোনও প্রভাব ফেলতে দেয় না।
আদা
‘হ্যাং ওভার’ কাটানোর আরও একটি পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত পন্থা হল আদা। উৎসবের হুজুগে নিজের আয়ত্তের বাইরে গিয়েও মদ্যপান করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু তার পর আর সামাল দিতে পারেন না। গা-গুলোনো বা বমি বমি ভাব কাটাতে তৎক্ষণাৎ আদা খেয়ে দেখতে পারেন।
কলা
অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতিও দেখা দেয়। শরীরে এই খনিজের অভাব হলে কলা তৎক্ষণাৎ সেই অভাব পূর্ণ করে। এ ছাড়া বমি হলেও শরীর কাহিল হয়ে পড়ে, জল খেলেও বারে বারে বমি হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কলা।
চা বা কফি
মদ্যপানের নেশা কাটাতে ক্যাফিন জাতীয় যে কোনও পানীয় দারুণ উপকারী। গরম চা বা কফির গন্ধেই স্নায়ু উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই উদ্যাপনের পরের দিন সকালবেলা চোখ খুলেই আগে চা বা কফির কাপে চুমুক দিতে কিন্তু ভুলবেন না।