চিরতা আর কালমেঘ কিন্তু এক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্ত মানেই রোগবলাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। কেউ ভাইরাল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, কারও শরীরে বাসা বাঁধছে ব্যাক্টেরিয়া। এই মরসুমে রোগের ঝুঁকি ঠেকিয়ে রাখতে চিরতার কোনও জুড়ি নেই। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এত কিছু থাকতে শেষ পর্যন্ত চিরতা! স্বাদে তেতো হলেও স্বাস্থ্যগুণে কিন্তু ভরপুর এই ভেষজ। চিরতা আর কালমেঘ কিন্তু এক নয়, অনেকেই এটা গুলিয়ে ফেলেন। বাজারেও চিরতার নামে কালমেঘ বিক্রি হয়। তাই একটু সতর্ক থাকুন কেনার সময়ে। মেদ ঝরানো, জ্বর কমানো থেকে শুরু করে তারুণ্য বজায় রাখা— চিরতার রয়েছে হরেক গুণ।
আর কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয় চিরতা?
১) ডায়াবেটিকদের জন্য চিরতার জল বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া, চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম করে।
২) ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা নিয়ে নাজেহাল? ত্বকের নানা সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন। কারণ, চিরতা রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। চামড়ার রোগ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
৩) অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়। বর্ষায় এই সমস্যা আরও বাড়ে। চিরতা এ ক্ষেত্রে উপকারী। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই জল খেতে পারেন।
৪) অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের জন্য লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। লিভার সুস্থ রাখতে চিরতার জল দারুণ উপকারী। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। চিরতার জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়।
৫) অ্যাসিডিটির সমস্যায় নাজেহাল? রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার জল খান। বদহজমের সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, সব অসুখের দাওয়াই চিরতার জল।
৬) রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন? নিয়মিত চিরতার জল খেলে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
৭) চিরতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দারুণ উপকারী। বসন্তে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের ঝুঁকি এড়াতে চিরতার জলে চুমুক দিতে পারেন।