বেদানায় রয়েছে বহু উপকারী পুষ্টিগুণ, শরীরের খেয়াল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছবি: সংগৃহীত।
হার্টের খেয়াল রাখা সহজ নয়। খাওয়াদাওয়া থেকে দৈনন্দিন জীবনযাপন, সর্বত্র কড়া নজর রাখা প্রয়োজন। নয়তো কখন কোন রোগ এসে হৃদ্যন্ত্রে বাসা বাঁধে, তা বলা কঠিন। কিন্তু নানা নিয়ম নানা সত্ত্বেও হৃদ্রোগ তো ঠেকানো যাচ্ছে না। সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর অর্ধেকের কারণ হার্ট অ্যাটাক। হৃদ্রোগের ঘটনা ক্রমশ ব়েড়ে চলেছে। শুধু বয়স্কদের মধ্যেই যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তা কিন্তু নয়। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদ্রোগে। এই রোগ ঠেকানোর সত্যিই কি কোনও উপায় নেই?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, বাইরের তেলমশলা জাতীয় খাবার খাওয়া, যথেষ্ট ঘুম না হওয়া, নুন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া— এই কারণগুলি হৃদ্রোগের নেপথ্যে রয়েছে। শরীরের যত্ন নেওয়া, সুষম খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম নেওয়া— এই তিনটি নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তবে এই তালিকায় রয়েছে একটি ফল। হৃদ্রোগ দূরে রাখতে সেটি দারুণ কার্যকরী। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি দিন যদি একটিও বেদানা খাওয়া যায়, তা হলে হৃদ্রোগ দূরে রাখা সম্ভব।
প্রতি দিন যদি একটিও বেদানা খাওয়া যায়, তা হলে হৃদ্রোগ দূরে রাখা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে হার্টের যত্ন নেয় হৃদ্রোগ?
বেদানায় রয়েছে বহু উপকারী পুষ্টিগুণ, শরীরের খেয়াল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে হার্টের যত্ন নিতে চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন বেদানার উপর। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ বেদানা ধমনিতে রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। সেই রক্ত যাতে জমাট বেঁধে না যায়, সেই দিকেও সমান নজর বেদানার। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিকিৎসকরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন। বেদানা সেই কাজটি করে। রোজ অন্তত এক গ্লাস করে বেদানার রস খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।