Flu Vaccine

শীত এলেই ভোল পাল্টে ফেলে ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাদের টিকা নিয়ে রাখা জরুরি?

সাধারণ জ্বরজারি বা শ্লেষ্মাজনিত কারণে হওয়া সারা বছরের চেনা ‘ফ্লু’ শীত এলেই কেমন বদলে যায়। চারিত্রিক বদল ঘটিয়ে শরীরে হানা দেয় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ফলে সর্দি-কাশির প্রকোপ তো বাড়েই, হাঁপানি বা সিওপিডি-র রোগীদের কষ্টও বাড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১২
Share:

কারা নেবেন ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা, কী ভাবে নিতে হবে? ফাইল চিত্র।

বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। তাপমাত্রার পারদ নামছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। আবহাওয়া বদলের এই সময়টাতেই ঘরে ঘরে হানা দেয় হাঁচি-কাশি ও মাথা যন্ত্রণার উপদ্রব। সাধারণ জ্বরজারি বা শ্লেষ্মাজনিত কারণে হওয়া সারা বছরের চেনা ‘ফ্লু’ শীত এলেই কেমন বদলে যায়। চারিত্রিক বদল ঘটিয়ে শরীরে হানা দেয় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ফলে সর্দি-কাশির প্রকোপ তো বাড়েই, হাঁপানি বা সিওপিডি-র রোগীদের কষ্টও বাড়ে। এই সময়টাতে তাই ফ্লু-এর টিকা নিয়ে রাখা ভাল বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

ফ্লু-এর টিকা কারা নেবেন?

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক পুষ্পিতা মণ্ডল বলছেন, “অনেকেই ভাবেন শীত এলেই শিশুদের ফ্লু-এর প্রতিষেধক দিয়ে রাখবেন। তবে আমরা নিষেধ করি। ছোটদের নিজস্ব শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়িয়ে রাখতে হবে এই সময়ে। সে জন্য আমলকি, লেবুর রস অর্থাৎ ভিটামিন সি আছে, এমন ফল ও সব্জি খেতে হবে। তবে হাঁপানির বা সিওপিডি-র রোগী অথবা ক্রনিক শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুখ, ফুসফুসের সংক্রামক রোগ আছে এমন রোগীদেরই ফ্লু-এর টিকা নিয়ে রাখার পরামর্শ দিই আমরা।” পুষ্পিতার কথায়, যে সব শিশুর হাঁপানির টান ওঠে, নিয়মিত ইনহেলার নিতে হয় অথবা নেবুলাইজ়ার নেওয়ার দরকার হয়, তাদের ফ্লু-এর টিকা নিয়ে রাখতে বলা হয়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। খুব কম বয়সে ফ্লু টিকা নেওয়ার দরকার নেই। দশ বছর বয়সের পর থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যেতে পারে।

Advertisement

কী ভাবে নিতে হবে টিকা?

ফ্লু-এর টিকা মানে হল হল ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, এই টিকা ০.৫ মিলিলিটার ডোজ়ে প্রতি বছর নিতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যে হেতু বছর বছর তার চরিত্র বদলে ফেলে, তাই এক বার টিকা নিয়ে রাখলে কোনও কাজ হবে না। প্রতি বছরই নিয়ম করে প্রতিষেধক নিতে হবে।

পুষ্পিতা বলছেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা হল এমন এক রোগ, যার ভাইরাস নিত্য রূপ বদলায়। মোটামুটি তিন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন মানুষ। একটি সাধারণ, মরসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা। দ্বিতীয়টি হল, মহামারির আকার ধারণ করে এমন, ইনফ্লুয়েঞ্জা। তৃতীয়টি হল জুনোটিক ইনফ্লুয়েঞ্জা। যা প্রাণী থেকে ছড়ায়। যেমন, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি। কম বয়সি এবং বেশি বয়সিরা এই ফ্লুয়ে আক্রান্ত হলে সমস্যার বিষয়। আর যাঁদের কেমোথেরাপি চলছে, যাঁরা স্টেরয়েড নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু ঝুঁকির হতে পারে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম যাঁদের, তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিয়ে রাখলে ভাল হয়।” তবে যদি গায়ে জ্বর থাকে বা সর্দি-কাশি হয়ে থাকে, তখন টিকা নেওয়া যাবে না। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তবেই প্রতিষেধক নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement