অনলাইনে পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচার সময়ে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
পুরনো, অব্যবহৃত জিনিস অনলাইনে বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকেই। এখন অসংখ্য ই-কমার্স সাইট রয়েছে, যেখানে পুরনো জিনিস কেনাবেচা হয়। পুরনো টেলিভিশন, মোবাইল, রান্নাঘরের টুকিটাকি থেকে শুরু করে বই, জামাকাপড়, শিশুর খেলার জিনিস, সাইকেল— সবই কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনে। আর এর সুবাদেই প্রতারণার নতুন কৌশল খুঁজে নিয়েছে জালিয়াতেরা।
অনলাইনে পুরনো জিনিস বিক্রি করার বা কেনার সময়ে সতর্ক থাকুন
দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করা কোনও জিনিস বা পুরনো জামাকাপড় অনলাইনে বিক্রি করতে চাইছেন। যে ই-কমার্স সাইটে গিয়ে জিনিসটির বিজ্ঞাপন দেবেন, আগে সেই সাইটটি ভাল করে যাচাই করে নিন। নেটমাধ্যমে এখন অনেক রকম ই-কমার্স সাইট ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলি ভুয়ো। সাইটটির ইউআরএল খেয়াল করুন, সাইটটিতে আর কী কী কেনাবেচা হচ্ছে, ক্রেতা বা বিক্রেতারা কী মন্তব্য করছেন সেগুলি ভাল করে দেখে নিন। নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।
আপনার বিজ্ঞাপন দেখে কোনও ক্রেতা জিনিসটি কিনতে চাইলে তাঁর পরিচয় আগে যাচাই করে নিন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভুয়ো ছবি ও আইডি কার্ড দেখানো হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। শুরুতেই টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না। তিনি কোনও লিঙ্ক পাঠালে বা কিউআর কোড স্ক্যান করতে বললে, তা করবেন না। নেটব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে তাঁকে টাকা পাঠাতে বলুন। আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর ভুলেও দেবেন না।
আপনি যদি কোনও পুরনো জিনিস কিনতে চান, তা হলেও একই রকম সতর্ক হতে হবে। বিক্রেতার পরিচয় আগে জেনে নিন। পুরো টাকা কখনওই পাঠাবেন না। বলুন, আপনি ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ করতে চান। জিনিসটি হাতে পেয়ে টাকা দেওয়াই ভাল।
লেনদেন সংক্রান্ত কোনও অ্যাপ যদি কেউ ডাউনলোড করতে বলেন, তা কখনওই করবেন না। অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এতে বাড়তি সুরক্ষা যুক্ত হবে এবং অনলাইন অ্যাকাউন্টও সুরক্ষিত থাকবে।
ব্যাঙ্কের তরফ থেকে সব সময়ে মোবাইল অ্যালার্ট পরিষেবা নিন। তা হলে প্রতিটি লেনদেনের এসএমএস মোবাইলে আসবে। ভুয়ো লেনদেন ধরতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে কার্ড ব্লক করান।