Food habits

স্বাস্থ্য সচেতন অথচ ঘুম থেকে উঠেই চা-বিস্কুট খাচ্ছেন? বিপদ কিন্তু শিয়রে অপেক্ষা করছে

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হেঁশেলে আগে চায়ের জল গরম হবে। এমন দৃশ্য তো নতুন নয়। এ অভ্যাসও বহু দিনের। কিন্তু এমন অভ্যাসই নাকি বহু রোগের কারণ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৩
Share:

চা-বিস্কুট খাওয়াও বিপদ? ছবি- সংগৃহীত

চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের যুগলবন্দি বহু দিনের। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুটো বিস্কুট না খেলে যেন দিনটাই শুরু হতে চায় না। সমাজের প্রায় সর্ব স্তরেই এই এক রকম ছবি দেখা যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, চা-বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করার এই অভ্যাস নাকি শরীরের জন্য সব চেয়ে খারাপ। কারণ, অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এমন খাবার খেয়ে দিন শুরু করলে রক্তে শর্করার ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে পারে। পাশাপাশি ভুগতে হতে পারে অন্ত্রের সমস্যায়। দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস দেহে মেদের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে।

Advertisement

বিশেষত চিনি দেওয়া ঘন দুধ-চা এবং বিস্কুটে থাকা ময়দা, এই দুইয়ে মিলে হজমের গন্ডগোল বাধায়। তাই সকালে উঠে চা, বিস্কুট না খাওয়াই ভাল। তার পরিবর্তে খেতে পারেন এমন কিছু পানীয়, যা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

চায়ের পরিবর্তে সকালে কোন কোন পানীয় খাবেন?

১) ধনে বীজ ভেজানো জল

পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে দিন শুরু করুন ধনের জল দিয়ে। হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি এই জল শরীরে থাইরয়েড, ইনসুলিনের মতো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

আগের দিন রাতে এক কাপ জলে এক চামচ ধনে বীজ ভিজিয়ে দিন। পরের দিন, সকালে মুখ ধুয়ে, খালি পেটে ওই জল খেয়ে নিন। ধনে বীজ ভেজাতে ভুলে গিয়ে থাকলে, বাজার থেকে কেনা ধনে বীজ গুঁড়ো এক গ্লাস হালকা গরম জলে গুলে খেয়ে নিতে পারেন।

২) অ্যালোভেরার রস

কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাদের জন্য অ্যালো ভেরার রস সব চেয়ে ভাল পানীয়। এক গ্লাস জলে ১৫ মিলিলিটার অ্যালো ভেরার রস মিশিয়ে সকাল বেলা খেয়ে নিন। কোষ্ঠ পরিষ্কারের পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

৩) দারচিনি মেশানো ডাবের জল

পটাশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস ডাবের জল। তার সঙ্গে যদি এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আর বেগ পেতে হবে না।

৪) মৌরি ভেজানো জল

শিশুদের পেট গরম হলে মাঝে মধ্যেই মৌরি ভেজানো জল খাওয়াতেন মায়েরা। এই মৌরি ভেজানো জল বড়দেরও হজমে সহায়তা করে। অন্ত্রে কোনও রকম প্রদাহ হলে তা-ও নির্মূল করে মৌরি।

৫) ডাবের জলে ভেজানো হালিমের বীজ

তেল, শ্যাম্পু, ঘরোয়া টোটকা— কোনও কিছুতেই চুল পড়া আটকানো যাচ্ছে না? প্রতি দিন সকালে ডাবের জলে ভেজানো হালিম বীজ খেয়ে দেখতে পারেন। ডাবের জলে আধ চা চামচ হালিম বীজ ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা দুয়েক। তার পর সেই জল খেয়ে নিন খালি পেটে। কিছু দিন পর থেকে নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement