দই খাওয়ার সঠিক উপায় জানতে হবে। ছবিঃ সংগৃহীত।
ওজন কমানো সহজ নয়। অনেক চেষ্টা করেও ওজন বাগে রাখা যায় না। ওজন কমানোর অন্যতম উপায় নিঃসন্দেহে শরীরচর্চা। শারীরিক কসরত করা জরুরি। না হলে রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। রোগা হওয়ার পর্বে রোজের খাদ্যতালিকায় কী থাকছে, সেটা খুবই জরুরি। এমন কিছু রাখতে হবে যা পেটও ভরতি রাখবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে দই কিন্তু দারুণ বিকল্প হতে পারে। ওজন কমাতে টক দইয়ের ভূমিকা দারুণ। তবে শুধু টক দই খেয়ে খেলে হবে না। দই খাওয়ার সঠিক উপায় জানতে হবে।
ওজন কমাতে দই খাওয়ার আরও কয়েকটি উপায় রয়েছে। ছবিঃ সংগৃহীত।
ওজন কমাতে ওট্সের ভূমিকা নতুন করে কিছু বলার নেই। টক দইয়ের সঙ্গে যদি জুটি বাঁধে ওট্স, তা হলে তো সোনায় সোহাগা। ওজন কমানো নিয়ে আর কোনও চিন্তাই রইল না। সকালের জলখাবারে অনায়াসে খেতে পারেন ওট্স দই মশলা। কী ভাবে বানাবেন? ওট্স নরম করে সেদ্ধ করতে বসান। সেদ্ধ হয়ে এলে এতে মেশান পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি, গাজর, টম্যাটো কুচি, সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন। এ বার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে সর্ষে ও ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে ওট্স আর সব্জিগুলি দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি ওট্স সব্জি মশলা।
এ ছাড়াও ওজন কমাতে দই খাওয়ার আরও কয়েকটি উপায় রয়েছে। রোগা হতে চাইছেন? তা হলে আপনার রোজের পাতে বেশি করে রাখতেই হবে সব্জি। ওজন কমাতে এর চেয়ে ভাল বিকল্প আর হতে পারে না। চেনা সব্জির একটু অন্য রকম স্বাদ পেতে চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন রায়তা। কী ভাবে বানাবেন? একটি পাত্রে কুচি করে কাটা টম্যাটো, পেঁয়াজ, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা কুচি, ধনে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো এবং বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিন রায়তা।